1. admin@narsingdirkanthosor.com : admin :
শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ০৫:১৯ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
ঘোড়াশালে ট্রাকের চাপায় যুবক নিহত, চালক আটক গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার একমাত্র উপায় দ্রুত জাতীয় নির্বাচন: ড. আব্দুল মঈন খান ফারাক্কা বাঁধ বাংলাদেশের জন্য মরণফাঁদ: মঈন খান জুলাইয়ের নামে দোকান খুলে ব্যবসা করলে প্রতিহত করতে হবে : নরসিংদীতে ভিপি নুর বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ৪৭ হাজারের বেশি হজযাত্রী মুক্তি পেলেন সাবেক বিডিআরের ২৭ সদস্য, স্বজনদের চোখে আনন্দ অশ্রু নরসিংদী-১ আসনে জামায়াতের এমপি প্রার্থী ইব্রাহিম ভূঁইয়া নতুন প্রজন্মরাই আগামী দিনে দেশ পরিচালনা করবে: মঈন খান ঘোড়াশালের প্রবেশ মুখে সড়কের বেহাল দশা, দুর্ভোগ চরমে ঘোড়াশাল এক সঙ্গে ৩ সন্তানের জন্ম দিলেন গৃহবধূ

জেনে নিন সাপে কামড় দিলে করণীয় সমূহ

ডা. মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ পাভেল
  • প্রকাশিতঃ বৃহস্পতিবার, ৪ আগস্ট, ২০২২
  • ৬৮১ বার

সাপে কাটা একটা “আতংকের” নাম। গ্রামীণ জীবনে সাপে কাটার বিষয়টি নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হলেও মে থেকে অক্টোবর মাসে তা বেড়ে যায়। তবে সাপে কাটলেই যে বিষক্রিয়া হবে, বিষয়টা কিন্তু এমন নয়। অনেকের জানা, দেশে বিষধর সাপের চেয়ে নির্বিষ সাপের সংখ্যাই বেশি। কিন্তু অপচিকিৎসা ও অজ্ঞতার কারণে আক্রান্ত মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব হয় না।

সাপে কাটলে কিছু লক্ষণ দেখা যায়:
ক্ষতস্থানে বিষদাঁতের দুটি দংশনের চিহ্নের উপস্থিতি, ক্ষত স্থান থেকে অনবরত রক্তপাত ও ক্ষতস্থান অস্বাভাবিকভাবে ফুলে ওঠা এবং প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করা, কখনো কখনো সারা শরীর ফুলে যাওয়া, খাবার ও ঢোক গিলতে অসুবিধা,
শ্বাসকষ্ট, চোখে ঝাপসা দেখা ও চোখের পাতা বন্ধ হয়ে আসা, ঘুম ঘুম ভাব আসা, হাত-পা অবশ হয়ে যাওয়া ও
অচেতন বা অজ্ঞান হয়ে পড়া, ঘাড় সোজা রাখতে না পারা,
প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রভৃতি।

এ ধরনের কোনো লক্ষণ দেখা দিলে নিকটস্থ হাসপাতালে যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত। সাপে কাটা ব্যক্তিকে প্রথমে আশ্বস্ত করতে হবে যে তার ভয়ের কোনো কারণ নেই। এর বৈজ্ঞানিক চিকিৎসা আছে। দংশিত স্থান কিছুতেই কাটাছেঁড়া করা উচিত নয়। কেবল ভেজা কাপড় দিয়ে কিংবা জীবাণুনাশক মলম দিয়ে ক্ষতস্থান মুছে দিতে হবে।

আক্রান্ত স্থান থেকে মুখের সাহায্যে রক্ত বা বিষ টেনে বের করার চেষ্টা করা বা ক্ষতস্থানে গোবর, শিমের বিচি, আলকাতরা, লালা, ভেষজ ওষুধ বা কোনো প্রকার রাসায়নিক লাগানো উচিত নয়। দংশন করা স্থান থেকে ওপরের দিকে একটি লম্বা কাঠ এবং গামছা বা কাপড় দিয়ে কেবল একটি বাঁধন এমনভাবে দিতে হবে, যেন তা খুব আঁটসাঁট বা ঢিলে কোনোটাই না হয়। তারপর দ্রুত নিকটস্থ হাস্পাতালে নিয়ে যাবেন। রোগীকে কোনভাবে হাটিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে না।

লিখেছেন : ডা. মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ পাভেল। এমবিবিএস (ঢাকা), বিসিএস (স্বাস্থ্য), এমপিএইচ (পাবলিক হেলথ), ডিএলও (ইএনটি) (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) নাক, কান ও গলা রোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন। সহকারী সার্জন, গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ইএনটি (ইএনটি) (ex)ডিসিএমসি

আরো খবর..
© নরসিংদীর কন্ঠস্বর
Developed By Bongshai IT