সাব্বির হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক : নরসিংদীর পলাশে রবিউল ইসলাম (১৬) নামে দশম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্র রেললাইনে ঘুরতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে। নিহত রবিউল পলাশ চরপাড়া গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। আজ শনিবার (১১ মে) দুপুর দুইটায় ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দিয়েছে নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ।
এর আগে গতকাল বিকেল ৫টায় পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল রেলস্টেশনের সামনের টান ঘোড়াশাল এলাকার রেললাইনের নিচে স্থানীয় কয়েকজন যুবক একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। এসময় তারা রেললাইনে রক্তের দাগ দেখতে পায়। পরে স্থানীয়রা ঘোড়াশাল পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেয়। খবর পেয়ে ফাঁড়ির এসআই নাইবুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। রাত ৮টার দিকে নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ খবর পেয়ে অজ্ঞাত হিসেবে মরদেহটি উদ্ধার করে।
ঘোড়াশাল ফ্ল্যাগ রেলওয়ে স্টেশনে বুকিং সহকারী মাসুদ সরকার জানান, ধারণা করছি, ঢাকা থেকে ছেড়ে চট্টগ্রাম অভিমুখী আন্ত:নগর সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় তরুণের মৃত্যু হয়।
নিহতের চাচাতো ভাই শামসুল আলম জানান, শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে রবিউল তার মায়ের সাথে দেখা করে জানান, মা কাল তো স্কুল খোলা, স্কুলে যাবো, বাইসাইকেলটার হাওয়া নেই। হাওয়া দিয়ে ঘুরে আসি। এই ছিল তার মায়ের সাথে শেষ কথা। পরে রবিউল বাসা থেকে বের হয়ে যায়। তারপর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে রাতে আমরা জানতে পারি ঘোড়াশালে ট্রেনের ধাক্কায় অজ্ঞাত একজনের মৃত্যু হয়েছে।
শামসুল আলম আরও জানান, খবর পেয়ে রাতেই নরসিংদী রেলওয়ে ফাঁড়িতে গিয়ে রবিউলের মরদেহ শনাক্ত করে তার বাবা সেলিম মিয়া। তার সাথে থাকা বাইসাইকেল পরে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। কে বা কারা সেটি নিয়ে যায়। আজ শনিবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে তার নিথর মরদেহ বাড়িতে আসে।
এদিকে রবিউলের মরদেহ দেখে মা-বাবা ও স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া।
নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মো: শহিদুল্লাহ জানান, ট্রেনের ধাক্কায় নিহতের মরদেহ উদ্ধার করার সময় পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। পরে রাত ১২টার দিকে রেলওয়ে ফাঁড়িতে পৌঁছে তার বাবা মা রবিউলের মরদেহ শনাক্ত করেন। আজ দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।