নিজস্ব প্রতিবেদক : নরসিংদীর পলাশে খানেপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোটের শেষ সময়ে ব্যালট পেপারে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগ উঠে পলাশ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী শরিফুল হকের সমর্থকের বিরুদ্ধে। শরীফুল হক দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।
মঙ্গলবার (৮ মে) ভোটের শেষ সময়ে উপজেলার খানেপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকের মাধ্যমে সোস্যাল মিডিয়ায় ভিডিও ভাইরাল হলে টনক নড়ে প্রশাসনের। ভিডিওতে দেখা যায় একটি বইয়ের পুরো পৃষ্ঠা জুড়ে দোয়াত কলম প্রতীকের উপর সিল মারা। ক্যামেরার পিছন থেকে কেউ একজন বলছে “খানেপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে পুরো বই মেরে ফেলেছে”। ” পুরো বইয়ে দোয়াত কলমের সিল মারা”।
স্থানীয়রা জানান, সকাল থেকে ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের তেমন উপস্থিতি দেখতে পাওয়া যায়নি। তবে শেষ সময়ে দোয়াত কলমের সমর্থকেরা এসে ভোট কেন্দ্রে ঢুকে অনেকগুলো বই সিল মেরে চলে যায়।
এ ব্যাপারে পলাশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শহীদুল্লাহ্ জানান, সেখানকার দুটি কেন্দ্রের সবগুলো ব্যালট পেপার চেক করা হচ্ছে। এখানে সাংবাদিক, পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত আছে। সবগুলো ব্যালট পেপার চেক করে তারপর সেখানকার ভোটের সংখ্যা বের করা হবে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রির্টানিং কর্মকর্তা রবিউল আলম বলেন, ব্যালট পেপারে সিল মারার ব্যাপারে শুনেছি। এ ভোট গুলো গণনা থেকে বাদ যাবে। কতগুলো ভোট মারা হয়েছে এব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৫০-১০০ ভোট গণনা থেকে চিহ্নিত করে বাদ দেওয়া হবে। গণনা থেকে বাদ করার পর কেন্দ্র ফাইন্ডআউট করবে তারপর রেজাল্ট আউট করা হবে। এছাড়া যারা এসবের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।