1. admin@narsingdirkanthosor.com : admin :
মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ০৬:১১ পূর্বাহ্ন

বারৈচা-রায়পুরা আঞ্চলিক সড়কে খানাখন্দে ভরা, সীমাহীন দুর্ভোগ

আলমগীর পাঠান
  • প্রকাশিতঃ শনিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৪
  • ১০৩ বার

বেলাব (নরসিংদী) প্রতিনিধি : নরসিংদীর বারৈচা বাসস্ট্যান্ডের বারৈচা-রায়পুরা আঞ্চলিক সড়কজুড়ে অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত। বেশির ভাগ স্থানে পিচঢালাই নেই। একটু বৃষ্টি হলেই সেসব গর্তে পানি জমে যায়। প্রতিনিয়তই উল্টে পড়ছে যানবাহন। আহত হচ্ছেন যাত্রীরা। এ ছাড়া, কাদাপানি ছিটে পাশের দোকানপাট ও পথচারীদের পোশাক নষ্ট হচ্ছে।

রাস্তার পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকার জমাটবাঁধা পানির কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় অনেক দূর্ঘটনা। বৃহস্পতিবার দুপরে অটোরিকশা উল্টে উক্ত গর্তে পড়ে ঘটনাস্থলেই হোসেন নগর গ্রামের হাফিজ খলিফার ছেলে নান্নু মিয়া মিস্ত্রি (৬৫) নিহত হয়, একই দিনে সবজি বাহী অটোরিক্সা উল্টে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় লোকজন এ সড়ক সংস্কারের দাবি জানালেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এলাকার লোকজন বলেন, বিশেষ করে বারৈচা বাসস্ট্যান্ডের বারৈচা-রায়পুরা আঞ্চলিক সড়কের ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক থেকে বারৈচা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় ৩০০ মিটারের রাস্তার অবস্থা খুব খারাপ। সংস্কার না করায় দিন দিন এসব খানাখন্দ গাড়ির চাকার চাপে ভাঙতে ভাঙতে বড় হচ্ছে।

আজ শুক্রবার সকালে সড়কের ঘুরে দেখা যায়, সড়কজুড়ে পানি থইথই করছে। এর মধ্যেই চলছে বিভিন্ন যানবাহন। বৃষ্টির পানি জমায় গাড়ি চলছে ধীরে। লোকজন যে আশপাশ দিয়ে হাঁটবেন, তারও কোনো উপায় নেই।

বারৈচা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী বলেন, সড়কের গর্তে গাড়ি আটকে থেকে সব সময়ই যানজট লেগে থাকে। অনেক সময় গর্তে জমে থাকা কাদাপানি ছিটে পোশাক নষ্ট হয়। অবস্থা এত খারাপ যে হেঁটে চলাই কষ্টকর। এই গর্তগুলো দ্রুত মেরামত করা প্রয়োজন।

সিএনজি চালক বাবুল মিয়া বলেন, এই সড়ক দিয়ে লাগাতারভাবে যান চলাচল করে। এত দিন হয়ে গেল এখন পর্যন্ত কেউ গর্তগুলো ভরাট করার কাজ করছে না।যদি রাস্তার দুপাশে ড্রেনের ব্যবস্থা থাকতো তাহলে এমনটা হতো না।

মোটরসাইকেল চালক আব্দুল্লাহ বলেন,আমি এই রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করি।বারৈচা-রায়পুরা আঞ্চলিক সড়কের মাথায় খানাখন্দে ভরা,এইখান দিয়ে মোটরসাইকেল চালানো পুরাইটাই ঝুঁকি।

স্থানীয় এক ব্যবসায়ি বলেন,বৃষ্টি এলেই রাস্তায় পানি জমে যায়।পরে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়।যানবাহন চলাচলের অসুবিধা হয়।বৃষ্টি পানি রাস্তায় জমে থাকার কারণে কাস্টমার দোকানে আসে না।আমাদের বেচাকেনা মন্দ।

চর উজিলাব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুল ইসলাম সম্রাট বলেন,আমি দুই বার করে সড়ক ও জনপথ থেকে ইটের সলিং এর ব্যবস্থা করেছি।আমি দ্রুত সময়ের মধ্যে আবার স্থায়ী সমাধানের ব্যবস্থা করবো।

নরসিংদী সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হামিদুল ইসলাম বলেন, আমরা কয়েকবার করে এটা পুনঃনির্মাণ করেছি। ইদের পর আমরা স্বায়ী সমাধান সরূপ রিজিট বা ইটের সলিং এর ব্যবস্থা করে দিব। আর যদি ড্রেনেজ করার মতো জায়গা দেয় তাহলে ড্রেনের ব্যবস্থা করে দিব।

আলমগীর পাঠান / নরসিংদীর কন্ঠস্বর

আরো খবর..
© নরসিংদীর কন্ঠস্বর
Developed By Bongshai IT