1. admin@narsingdirkanthosor.com : admin :
সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
খোকা : আমীর হামজা (রাসকিন আহমেদ জুয়েল) নরসিংদীর রায়পুরায় দুই কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ, গুরুতর আহত ২  বেলাবতে সাংবাদিকদের সাথে নবাগত ওসির মতবিনিময় গর্ভবতী মায়ের অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর মেধা বিকাশে অন্তরায় তেমনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সফলতায়ও : আমির হামজা মনোহরদীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, আহত ২৫ পলাশে শিশু হত্যার অভিযোগে যুবকের যাবজ্জীবন ত্যাগী নেতা মাসুদ রানাকে আগামীদিনে মূল্যায়ন করবে বেলাব উপজেলাবাসী পলাশে হাটবাজার পরিচালনা নিয়ে শিক্ষার্থীও বিএনপির সংঘর্ষ, আহত ২০ পলাশে কীটনাশকের দোকানে আগুন, ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি নরসিংদীর নতুন সিভিল সার্জন ডা. আমিরুল হক

মসজিদের দানবাক্সে ২৩ বস্তা টাকা, চলছে গণনা

নিজস্ব প্রতিবেদক :
  • প্রকাশিতঃ শনিবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৩
  • ২৮৩ বার
ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের সংগৃহীত ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক : কিশোরগঞ্জ পৌর শহরের নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ। এই মসজিদে আটটি লোহার দানবাক্স আছে। প্রতি তিন মাস পর পর দানবাক্স গুলো খোলা হয়।

আজ শনিবার (১৯ আগস্ট) সকালে আট দানবাক্সে ২৩ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। মিলেছে বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কারও। এখন চলছে গণনার কাজ।

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গত ৬ মে মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন ১৯ বস্তায় ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৭ হাজার ৬৮৯ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা, সোনার গয়না ও হীরা পাওয়া গিয়েছিল। এছাড়া চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি ৩ মাস ১ দিন পর দানবাক্স খোলা হয়েছিল। ২০টি বস্তায় তখন ৪ কোটি ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা, সোনার গয়না ও হীরা পাওয়া যায়।

মসজিদ পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল সোয়া আটটার দিকে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের আটটি দানবাক্স খোলা হয়েছে। দানবাক্স গুলো খুলে ২৩ টি বস্তায় ভরে টাকাগুলো মসজিদের দোতলায় আনা হয়েছে গণনার জন্য। এখন চলছে গণনার কাজ।

মসজিদের খতিব এলাকাবাসী ও দূরদূরান্ত থেকে আসা সূত্রে জানা যায়, এ মসজিদে মানত করলে মনের আশা পূর্ণ হয়। এমন ধারণা থেকে ধর্ম- বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এ মসজিদে দান করে থাকেন।

জনশ্রুতি আছে, এক সময় এক আধ্যাত্মিক পাগল সাধকের বাস ছিল কিশোরগঞ্জ পৌর শহরের হারুয়া ও রাখুয়াইল এলাকার মাঝ দিয়ে প্রবাহিত নরসুন্দা নদের মধ্যবর্তী স্থানে জেগে ওঠা উঁচু টিলাকৃতির স্থানটিতে। মুসলিম-হিন্দু সব ধর্মের লোকজনের যাতায়াত ছিল এই সাধকের আস্তানায়। পাগল সাধকের দেহাবসানের পর তার উপাসনালয়টিকে কামেল পাগল পীরের মসজিদ হিসেবে ব্যবহার শুরু করে এলাকাবাসী।

কিন্তু ওই সাধকের দেহাবসানের পর থেকে আশ্চর্যজনকভাবে এলাকা এমনকি দেশের দূর-দূরান্তের লোকজনের ভিড় বাড়তে থাকে। মানত কিংবা দান খয়রাত করলে মনোবাসনা পূরণ হয় এমন বিশ্বাশ থেকে বিভিন্ন বয়সের মুসলিম-হিন্দুসহ বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণের নারী-পুরুষ মানত নিয়ে আসেন এ মসজিদে। তারা নগদ টাকা-পয়সা, স্বর্ণ ও রুপার অলংকারের পাশাপাশি গরু,ছাগল, হা়ঁস-মুরগী এমনকি বৈদেশিক মুদ্রা ও দান করেন।

বিশেষ করে প্রতি শুক্রবার দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এ মসজিদের মানত নিয়ে আসা বিভিন্ন বয়সের নারী- পুরুষের ঢল নামে। আগতদের মধ্যে মুসলিমদের অধিকাংশই জুমার নামাজ আদায় করেন এই মসজিদে। আর এই ইতিহাস প্রায় আড়াইশ বছরেও অধিক সময়ের বলে জানা যায়।

বর্তমানে কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে পাগলা মসজিদ অন্যতম। শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে মাত্র ১০ শতাংশ জমির ওপর মসজিদটি গড়ে উঠলেও বর্তমানে মসজিদটি কমপ্লেক্সটি ৩ একর ৮৮ শতাংশ জায়গা আছে। এ মসজিদের পরিধির সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে এর খ্যাতি ও ঐতিহাসিক মূল্য।

আরো খবর..
© নরসিংদীর কন্ঠস্বর
Developed By Bongshai IT