সাইফুর নিশাদ, নিজস্ব প্রতিবেদক : সেতুটি জরাজীর্ণ। রেলিং ভাঙ্গা নড়বড়ে। মধ্যখানে বিশাল ভাঙ্গা দুটি গহ্বর। সেগুলোকে পাশ কাটিয়ে চরম ঝুঁকির সাথে যানবাহনের সেতু অতিক্রম। এতে যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা। তবু এভাবেই নিত্য চলাচল পথচারী ও যানবাহনের।
সেতুটি দিয়ে বড়চাপা বাজার, হাইস্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীসহ চারটি গ্রামের মানুষের যাতায়াত, উৎপাদিত কৃষি পন্যাদি বাজারজাতকরন, ওষুধ, গোসম্পদ ও অন্ততঃ ২৫/৩০টি পোল্ট্রি খামারের খাবার পরিবহনসহ নানাবিধ প্রয়োজনে সেতুটির গুরুত্ব অপরিসীম। আর এজন্য সবার চলাচল এ ভাঙ্গা বিপজ্জনক সেতুটি দিয়েই।
মনোহরদী উপজেলার বড়চাপা বাজার সংলগ্ন বড়চাপা চরমান্দালিয়া ভায়া কৃষ্ণপুর রাস্তার উপরে একটি ভাঙ্গা সেতু। মরা আড়িয়াল খাঁ নদের উপর মাটি থেকে কমপক্ষে ২০ ফুট উপরে জরাজীর্ণ আকৃতির এ সেতুটির অবস্থান। সেতুপথটি দিয়ে বড়চাপা কলেজ ও হাইস্কুলের শিক্ষার্থীসহ, বড়চাপা বাজারের হাঁটুরে লোকজনের নিত্য যাতায়াত।
কৃষ্ণপুর গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা পলাশ মাহমুূদ জানান, কৃষ্ণপুর বাজারের মালবাহী গাড়ী,গরু ও মুরগীর খামারের খাবার, ওষুধবাহী গাড়ী, ব্যক্তি ও সরকারী উন্নয়ন কর্মকান্ডের জন্য ইট, বালি, রড,
সিমেন্ট ইত্যাদি এ সেতুর কারনে দীর্ঘ ঘুরপথে আনানেয়া করতে হয়। এতে সংশ্লিষ্টরা সমূহ ক্ষতির সম্মুখীন।
বড়চাপা কলেজে অধ্যক্ষ হেরেম উল্লাহ আহসান
এ প্রসঙ্গে বলেন, সেতুটি নির্মান জরুরী। ভাঙ্গা সেতুটি দিয়ে সিএনজি, অটো, সাইকেল, মোটর সাইকেল কোনরকমে চলতে পারলেও প্রাইভেট কারের মতো সামান্য বড়ো কোন যানও চলতে পারে না। ফলে ভোগান্তি ঘটছে এলাকাবাসীর। আর এতে বিপদ আপদের আশঙ্কা থাকছে পূর্ন মাত্রায়।
বড়চাপা ইউপি চেয়ারম্যান এম সুলতান উদ্দীন জানান, তাদের প্রচেষ্টায় সেতুটি পুনঃ নির্মাণের ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আশা করা যায়, খুব দ্রুতই এর কাজ শুরু হবে।
এ ব্যাপারে মনোহরদী উপজেলা প্রকৌশলী মীর মাহিদুল ইসলাম জানান, সেতুটি পুনঃ নির্মাণের উদ্দেশ্য মৃত্তিকা পরীক্ষা করে ডিজাইনের জন্য প্রেরন করা হয়েছে।