নিজস্ব প্রতিবেদক : ইউএস-বাংলা সাহিত্য সম্মেলন কর্তৃক “কবি-গুণীজন সম্মাননা অ্যাওয়ার্ড ২০২২” পেলেন লেখক, গবেষক ও প্রকৌশলী ইমরান আকন্দ। সাহিত্য ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি এ সম্মাননা লাভ করেন।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) ইউ এস-বাংলা সাহিত্য সম্মেলনের উদ্যোগে সিলেট কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদে অনুষ্ঠিত হয় ‘আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন ও কবি-গুণীজন সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান। এক অনাড়ম্ভর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দুই বাংলার আলোচিত বিভিন্ন কবি-সাহিত্যিকদের হাতে তুলে দেয়া হয় উক্ত সম্মাননা অ্যাওয়ার্ড ও একটি স্বীকৃতি মূলক সনদপত্র।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কবি ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব রেজাউদ্দিন স্টালিন, বরেণ্য আবৃত্তি শিল্পী টিটো মুন্সি,কবি ও সঙ্গীতজ্ঞ সুরজিৎ পাল(কলকাতা), বিশিষ্ট কবি ও শিক্ষাবিদ ড. শেখ কামাল উদ্দিন (কলকাতা), কবি ও সাংবাদিক মাহমুদুল হাসান নিজামী, সিলেটের যুগশ্রেষ্ঠ দানবীর ড.রাগীব আলী, কবি ও লেখক নজরুল ইসলাম বাঙ্গালি এবং কবি ও গবেষক প্রাকৃতজ শামিম রুমি টিটন।
ইমরান আকন্দ নরসিংদী জেলার বেলাবো উপজেলার ভাবলা গ্রামের সন্তান। তিনি পেশায় একজন প্রকৌশলী হলেও তার কলম থেমে থাকেনি। তিনি লিখে চলেছেন অনবরত। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে ভারতের বিভিন্ন ম্যাগাজিনেও তার লেখা ছাপা হয়। লিখছেন দেশের বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায়।
তার গবেষণাধর্মী কয়েকটি বই বেশ পাঠক প্রিয়তা পেয়েছে।৮৭-র স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শহীদ নূর হোসেনকে নিয়ে লিখেছেন ‘বিপ্লবী নূর হোসেন’; ‘শহীদ নুর হোসেন এক জীবন্ত পোস্টার’। যা ইতোমধ্যে সাহিত্য সমাজে বেশ সাড়া ফেলেছে। দেশের প্রধানতম কবি শামসুর রাহমানকে নিয়েও তার বই রয়েছে, বইয়ের নাম ‘শামসুর রাহমান : কাব্য ও জীবন ‘। তাছাড়াও লিখে চলছেন কবিতা, গান, প্রবন্ধ ও উপন্যাস।
লেখক ও প্রকৌশলী পরিচিতির পাশাপাশি তিনি সংগঠক হিসেবেও বেশ পরিচিত। তিনি কাজ করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)র ইয়েস গ্রুপে, ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন প্রথম আলো বন্ধু সভায়, কাজ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির আবৃত্তি সংগঠন চারুকন্ঠে, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি সাহিত্য ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের মধ্যে তিনি অন্যতম, তিনি সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদক এবং পরবর্তীতে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।মানবতার সেবা করার লক্ষ্যে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন একটি সামাজিক সংগঠন জাগ্রত বিবেক।