সাব্বির হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, ছাত্ররা স্বৈরাচারী বিরোধী আন্দোলনে বিজয়ী হয়েছে। তারা বন্ধুকের গুলিকে ভয় পায়নি ও তাদের কোন পিছুটান না থাকায় তারা বিজয়ী হয়েছে। ছাত্ররা বুক ফুলিয়ে বলেছে, আমাকে গুলি করো দেখি কত গুলি করতে পারো কিন্তু গায়ে হাত উঠাতে পারবে না। ছাত্ররা সেই সাহস দেখিয়েছিল বলেই বাংলাদেশ থেকে স্বৈরশাসক পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
আজ বুধবার (০১ জানুয়ারী) সন্ধায় পলাশ উপজেলার কো-অপারাটিভ মোড়ে ছাত্রদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে বিকেল ৩ টায় পলাশ উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার মাঠ থেকে উপজেলা ছাত্রদলের বর্ণাঢ্য এক র্যালি বের হয়।
ড. আব্দুল মঈন খান আরও বলেন, তোমরা নতুন করে শপথ গ্রহণ করো, এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। পাঁচ আগস্ট আমরা যে সংগ্রাম করেছিলাম সেই সংগ্রামের মাত্র প্রথম অধ্যায় শেষ হয়েছে। সংগ্রামের দ্বিতীয় অধ্যায় হচ্ছে আমরা এ দেশে নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার করে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করবো।
তিনি বলেন, সংগ্রামের সর্বশেষ অধ্যায় হবে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে তিনশত জনপ্রতিনিধি আমরা সংসদে পাঠাবো। তারা জনগনের ভোটে জনপ্রতিনিধি হয়ে আইনের শাসন বাংলাদেশে কায়েম করবে। বাংলাদেশের মানুষের গনতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে নিয়ে আসবে। এদেশ পুনরায় একটি গনতান্ত্রিক দেশ হিসেবে নতুন করে গড়ে উঠবে। যেই গনতান্ত্রিক দেশ গড়ার জন্য ১৯৭১ সালে লক্ষ লক্ষ মানুষ জীবন দিয়েছিল।
তরুণ সমাজ রাজপথে ছিলে, রাজপথে আছো তোমরা রাজপথেই থাকবে। কিন্তু তোমাদের বলবো, তোমরা ক্লাস রুমে ছিলা, ক্লাস রুমে আছো এবং ক্লাশ রুমেই থাকবে। লেখা পড়া নিয়মিত ভাবে করতে হবে। লেখা পড়া ছাড়া কিন্তু সঠিক মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবে না। তাহলে এদেশ তোমরা শাসন করতে গেলে আওয়ামীলীগ যে ভুল করেছিল আবার সেই ধরনের ভুল করার সম্ভাবনা থেকে যাবে।
তিনি বলেন, তোমাদের প্রত্যেককে বলবো তোমরা ক্লাসে ফিরে যাও। তোমাদের চিন্তিত হওয়ার কোন কারণ নেই। আগামীর ভবিষ্যৎ, আগামীর পৃথিবী তোমাদের সামনে উন্মুক্ত হয়ে আছে। এদেশ তোমরাই পরিচালনা করবে, এদেশ তোমরাই শাসন করবে। এদেশের মানুষ তোমাদেরই ভোট দিবে। তোমরা মাঝপথে এসে লেখা পড়া বিসর্জন দিতে পারো না। তোমরা ক্লাস রুমে ফিরে গিয়ে লেখা পড়া সম্পূর্ণ করে আবার তোমরা জনগণের মাঝে ফিরে আসবে জনগন তখন তোমাদের বুকে জড়িয়ে নিবে। এবং এদেশের মানুষ তোমাদের ভোটের মাধ্যমে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিবে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন খান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এডভোকেট রোকসানা খন্দকার, ড. আব্দুল মঈন খানের মেয়ে নওশীন খান, পলাশ উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম.এ সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর সাইফুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন ভূইয়া মিল্টন, সহ-সভাপতি আওলাদ হোসেন জনি, এ্যাড. কানিজ ফাতেমা, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, যুগ্ন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান টিপু,
পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আলম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক মো: দেলোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন চিশতিয়া, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহেল, সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান পাপন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাফিকুল ইসলাম খান, পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান ও সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম আরিফ প্রমুখ।
শেষে পলাশ উপজেলা মাল্টিপারপাস অডিটোরিয়ামে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।