1. admin@narsingdirkanthosor.com : admin :
রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
নরসিংদীতে জাকের পার্টির ছাত্র ফ্রন্টের ইউনিয়ন প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত বারৈচা বাজারে সড়কের পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ঘোড়াশালে ট্রাক নষ্ট হয়ে ২ ঘন্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ খায়রুল কবির খোকন গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট এর শুভ উদ্বোধন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব নিয়োগ পেলেন পলাশের কৃতি সন্তান শিবপুরে নরসিংদী পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত রায়পুরায় ট্রেনে কাটা ৫ মরদেহের পরিচয় শনাক্ত রায়পুরায় নিজের কাছে থাকা পুরনো বন্দুকের গুলিতে যুবক আহত শিবপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নিপুন খান গ্রেপ্তার হত্যা মামলায় পলাশের ইউপি মেম্বারসহ গ্রেপ্তার ৪

শিবপুরে প্রেমিকার আত্মহত্যার শোক সইতে না পেরে প্রেমিকের আত্মহত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক | নরসিংদীর কন্ঠস্বর
  • প্রকাশিতঃ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪
  • ৪০৮ বার

নিজস্ব প্রতিবেদক : নরসিংদীর শিবপুরে প্রেমিকার আত্মহত্যার শোক সইতে না পেরে ১৯ দিন পরে প্রেমিক সিফাত (১৯) ফেসবুক‌ স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে উপজেলার মাছিমপুর ইউনিয়নের খড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সিফাত ওই গ্রামের ইব্রাহিমের ছেলে। সিফাত শিবপুর সরকারি শহীদ আসাদ কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।

মৃত্যুর আগে এক দীর্ঘ ফেসবুকে স্ট্যাটাসে সিফাত লেখেন, ‘তানহা আত্মহত্যা করে প্রমাণ করে গেলো আমারে কতটা ভালোবাসে। আমিও প্রমাণ করে দিমু তানহারে আমি কতটা ভালোবাসি। কারও সঙ্গে ভুল করে থাকলে মাফ করে দিও। আর দেখা হবে না সবাই দোয়া কইরো শান্তিতে থাকি কিংবা অশান্তিতে দুজন যেন এক সঙ্গে থাকতে পারি। আমার শেষ ইচ্ছা তানহার কবরের পাশে আমাকে কবর দেওয়া হোক।

আমি পরিস্থিতির স্বীকার। আর আমার কোনো কিছুর জন্য তানহার পরিবার বা আমার পরিবার দায়ী না, এমনকি আমার কোনো ভাই-ব্রাদার বা বন্ধু ও দায়ী না। যা হবে আমার নিজের ইচ্ছেতে হবে। সত্যি বলতে আমার আর বাচার ইচ্ছে নাই। আমাকে যদি কেউ বাঁচিয়েও নেয় আমি পুনরায় আত্মহত্যার চেষ্টা করব। প্লিজ আমাকে কেউ বাঁচানোর চেষ্টা কইরো না বেঁচে থেকে আর কি হবে যার জন্য বাঁচার কথা ছিল সে তো আর নেই।

তানহা আমারে কথা দিছিলো যদি বাঁচি তো এক সঙ্গে বাঁচমু আর যদি মরতে হয় তো এক সাথে মরমু। আমি তানহারে এই কথাটাই দিছিলাম। কিন্তু একটা চরিত্রহীন জানোয়ার আমাদের সুখে থাকতে দিল না। ওদের অত্যাচারে তানহা আত্মহত্যা করলো। এক প্রকার তারা তানহারে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করলো। জানোয়ারের পরিবারকেই আমি খুনি বলে দাবি করি। আমি যদি বেঁচে থাকি তাহলে জানোয়ারের পরিবার স্বাধীনভাবে চলবে ওদের কোনো সাজা হবে না। আর অন্য দিকে আমার তানহা ও শেষ আমি অর্ধেক শেষ আমার পরিবার ও শেষ। আমি আর কষ্ট সহ্য করতে পারছি না (প্রমাণ হয়ে যাক দুজন দুজনকে কতটা ভালোবাসতাম) আর আমি চরিত্রহীন জানোয়ারের পরিবারের সঠিক বিচারের দাবি জানাচ্ছি। এমন সাজা দেওয়া হোক অন্য কোনো মেয়ের সাথে যেন এমন না হয়। আর যেন কারও প্রাণ না ঝরে। কেউ যেন ব্ল‍্যাকমেলের শিকার না হয়। আমার শেষ একটাই ইচ্ছে- আমরা দুজনে সারাজীবন একসঙ্গে থাকতে চেয়েছিলাম বাস্তবে তা হলো না তাই আমার মৃত্যুর পরে তানহার কবরের পাশে যেন আমার কবর দেওয়া হয়।

আমি আঙুররে মারছি শুধু একটা কারণে হেয় তানহার হাতে ধরছিল। তানহারে খারাপ প্রস্তাব দিছিল। আমি সহ্য করতে পারি নাই। তাই হেরে কোবাইছি। আমরা প্রেম করছি এটাই কি অপরাধ ছিল। আমাদের জীবন শেষ করে দিলো ভালো থাকুক আঙুর আর আঙুরের পরিবার।

নিহতের পিতা ইব্রাহিম জানান, প্রতিবেশী চাচাত বোন খলিলের মেয়ে তানহার (১৫) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল আমার ছেলে সিফাতের। গত ৩ এপ্রিল দিবাগত রাত দুইটার সময় তানহা ঘরের ভেতর থেকে আর সিফাত জানালার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলার সময় দেখে ফেলে একই এলাকার রাজুর ছেলে আঙ্গুর (২৫)। এ সময় আঙ্গুর তানহাকে কু-প্রস্তাব দেয়। সিফাত এতে নিষেধ করে। কু-প্রস্তাব রাজি না হওয়ায় আঙ্গুর সিফাতকে মারধর করে টাকা দাবি করে পরে সে উত্তেজিত হয়ে আঙ্গুরকে কুপিয়ে আহত করে। মারামারি বিষয়ে মামলা চলমান রয়েছে।

লোকলজ্জায় গত ৬ এপ্রিল রাতে তানহা নিজ ঘরে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এইসব বিষয়ে গ্রামীণ সালিস দরবার হওয়ার কথা ছিল। সালিস দরবারে আমাকে ও আমার ছেলেকে এটা করবে ওটা করবে বলে বিভিন্নভাবে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করতো। দরবারে গেলে জমির দলিল নিয়ে যেতে বলতো এসব মানসিক চাপ সইতে না পেরে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে ছেলে সিফাত। আমি এর বিচার দাবি করছি।

শিবপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও তদন্তের পর আত্মহত্যার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

আরো খবর..
© নরসিংদীর কন্ঠস্বর
Developed By Bongshai IT