নিজস্ব প্রতিবেদক : নরসিংদীর শিবপুরে চাঞ্চল্যকর মাদ্রাসা ছাত্র বাদশা হত্যা মামলায় ১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছে আদালত। একই সাথে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়। অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। আজ বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত ১ এর বিচারক শামিমা পারভিন এই রায় ঘোষনা করেন। সাঁজা প্রাপ্ত আসামী রায়হান মোল্লা শিবপুরের সৈয়দনগর পাঁচভাগ গ্রামের বাচ্চু মোল্লার ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, স্বামী মারা যাওয়ার পর সন্তানদের নিয়ে দিলরুবা তার বাবার বাড়ি শিবপুর উপজেলার সৈয়দনগর পাচঁভাগ গ্রামে বসবাস করতো। দুই সন্তানের মধ্যে নিহত আবুল বাশার ওরফে বাদশা মোল্লা স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় লেখা পড়া করতো। ২০০৬ সালের ১৮ জুলাই টাকার প্রয়োজনে বাশার বাড়িতে আসে। ওই সময় বাশার তাদের পৈত্রিক সম্পত্তিতে লাগানো কলা ক্ষেত থেকে কলার ছড়ি কাটতে যায়। এতে বাধা দেয় প্রতিবেশি বাচ্চু মোল্লা তার ছেলে রায়হান মোল্লা ও তার পরিবারের সদস্যরা।
তাদের কথা উপেক্ষা করে কলার ছড়ি কাটা জের ধরে প্রতিপক্ষ বাচ্চু মোল্লার নির্দেশে তার ছেলে রায়হান মোল্লা পেছন থেকে বাদশাকে মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপ পারে। এতে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী ১০০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ঘটনার ১ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এঘটনায় নিহতের দাদা নুরুল ইসলাম মৃধা বাদী হয়ে রায়হান মোল্লাসহ ৪ জনকে আসামী করে শিবপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে রায়হান মোল্লাকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। পরে একাধিক সাক্ষির সাক্ষ্য গ্রহন শেষে হত্যার দায়ে রায়হান মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করে। একই সাথে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়। অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত ১ এর বিচারক শামিমা পারভিন।
নরসিংদী জজকোর্টের আইনজীবি ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) এ্যাড. আসাদ্দুজ্জামান ওরফে জামান বলেন, হত্যাকান্ডের বিষয়টি প্রমানিত হওয়ায় রায়হান মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালতের বিজ্ঞ বিচারক। বাকি আসামীদের বেকুসুর খালাস প্রদান করা হয়।