নিজস্ব প্রতিবেদক : নরসিংদীতে ডাকাত ও মাদক কারবারিসহ ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ। মঙ্গলবার দিনব্যাপী জেলায় পৃথক অভিযান চালিয়ে শিবপুর উপজেলার সাধারচরে ডাকাতির ঘটনায় ৬ জন, কারারচরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৫ জন, ইটাখোলায় মাদকসহ ১ জন ও নরসিংদী সদরে মাদকসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ বুধবার (০২ আগস্ট) সকালে নরসিংদী পুলিশ সুপারের কার্য্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, জেলার শিবপুর উপজেলার শহিদ মিয়া (৩৫), আমির হোসেন (৩৪), বজলুর রহমান (৪৫), শাকিল মিয়া (২২), মনোহরদী উপজেলার আলম মিয়া (২৫), পলাশ উপজেলার সফর আলী (২৮), মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার নয়ন হোসেন (২৩), রিফাত হোসেন (১৮), নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার জুয়েল হোসেন (৩০), ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানিগঞ্জ থানার রবিন (২৮), যাত্রাবাড়ি থানার কালু শেখ (৫৮), ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার রবিউল (৪৬), আলআমিন মিয়া (২৮), জাহাঙ্গীর মিয়া (৩০) ও বিজয়নগর থানার সোহেল মিয়া (৩৫)।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, মঙ্গলবার রাতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ গোপন তথ্যে জানতে পারে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শিবপুর উপজেলার কারারচরে নির্মাধীন তোফাজ্জল মাওলানা হাসপাতালের সামনের ফাঁকা জায়গায় একদল ডাকাত ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এসময় সেখানে অভিযান পরিচালনা করে নয়ন, রিফাত, জুয়েল , রবিন ও কালু শেখ নামে ৫ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের কাছ থেকে ২টি চাপাতি, ২টি চাকু ও ডাকাতি কাজে ব্যবহ্নত একটি ট্রাক উদ্ধার করা হয়। তারা শিবপুর এলাকায় ডাকাতির উদ্দেশ্যে এখানে সমবেত হয়েছিলো।
এদিকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ মঙ্গলবার রাতে নরসিংদী সদর উপজেলার কাউরিয়াপাড়ার লঞ্জঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে গাঁজাসহ রবিউল নামে এক মাদক কারবারীকে গ্রেপ্তার করে। তার কাছ থেকে ৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
পরে ভেলানগর মাইক্রোস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে গাঁজাসহ আলামিন ও জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের নিকট থেকে ১০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এর আগে শিবপুর উপজেলার ইটাখোলায় অন্বেষা সিনেমা হলের সামনে থেকে ৪২ কেজি গাঁজাসহ সোহেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। পৃথক অভিযানে ৫৮ কেজি গাঁজাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৪ জুলাই শিবপুর উপজেলার সাধারচর এলাকার অজিত চক্রবর্তীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এসময় ডাকাতরা স্বর্ণলঙ্কার, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন লুণ্ঠন করে নিয়ে যায়। এঘটনায় থানায় মামলা হলে পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে শহিদ, আমির, সফর, বজলুর, শাকিল ও আলমকে গ্রেপ্তার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত মোবাইল উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে বজলুর ও শাকিল দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে।
তিনি আরো জানান, মাদক উদ্ধারের ঘটনায় নরসিংদী ও শিবপুর থানায় মাদকদ্রব্য আইনে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর ডাকাতির প্রস্তুতির ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে শিবপুর থানায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।