সাইফুর নিশাদ, মনোহরদী প্রতিনিধি : নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার চালাকচর-মাষ্টারবাড়ী সড়কের ৮ কিলোমিটার রাস্তা ভেঙ্গে খানাখন্দে পরিপূর্ণ হয়েছে। এতে সড়কে চলাচলকারীদের সীমাহীন দুরবস্থায় পড়তে হচ্ছে। প্রতিদিন রাস্তাটিতে সিএনজি, অটোরিক্সা, মোটরবাইক, ট্রাকসহ নানা যানবাহন চলাচলে চলছে তীব্র ভোগান্তি। রাস্তাটি সংস্কারের কোন উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।
মনোহরদীর চালাকচর- মাষ্টারবাড়ী পাকা রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরেই কটিয়াদী উপজেলা সীমানা পর্যন্ত ভাঙ্গাচোরা ও খানাখন্দে পরিপূর্ণ। ফলে গুরুত্বপূর্ন এ রাস্তাটি নিয়ে চলাচলকারীদের ভোগান্তির শেষ নেই।রাস্তাটি দিয়ে চালাকচর বাজার, বীরগাঁও চৌরাস্তা বাজার, দরগার বাজার, মাষ্টারবাড়ী বাজার, কটিয়াদী বাজারের লোকজনসহ এলাকাবাসীর চলাচলের প্রধান রাস্তা।
এই রাস্তা দিয়ে এক বিস্তির্ন এলাকার মানুষের দৈনন্দিন প্রয়োজনে মনোহরদী উপজেলা সদরে যাতায়াতের জন্য ব্যবহার হয়ে আসছে। এ ছাড়াও রাস্তাটির উপরে খিদিরপুর, কৃষ্ণপুর ও চরমান্দলিয়া ইউনিয়নের পীরপুর উচ্চ বিদ্যালয়, পীরপুর সঃ প্রাঃ বিঃ, পীরপুর ভাটিপাড়া সঃ প্রাঃবিঃ, ডোমনমারা সঃ প্রাঃ বিঃ, বীরগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়, পশ্চিম বীরগাঁও বালিকা দাখিল মাদ্রাসা, চরমান্দালিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও চরমান্দালিয়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এ রাস্তা দিয়েই চলাফেরা করে থাকে। রাস্তাটির কারনে প্রচন্ড ভোগান্তির সম্মুখীন রয়েছেন তারা। এছাড়াও ৩ টি ইউনিয়ন এলাকার উৎপাদিত কৃষি পণ্যাদি পরিবহন ও বাজারজাতকরনেও রাস্তাটির গুরুত্ব অপরিসীম।
রাস্তাটি নিয়ে সবচে বেশী ভোগান্তির অভিযোগ এ রাস্তায় চলাচলকারী অটোরিক্সা ও সিএনজি চালকদের। তাদের বক্তব্য, ৫ মিনিটের গন্তব্যে পৌঁছাতে সময় লাগছে এখন ২৫ মিনিট। এ ছাড়া তাদের যানবাহনের ক্ষয়ক্ষতিও ঘটে থাকে ভীষন রকম। পাশাপাশি সীমাহীন আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীনও হচ্ছেন তারা। ফলে এ রাস্তায় চলাচলে ভীষন অনীহা তাদের। এ কারনে এলাকার যাত্রীসাধারনেরও ভোগান্তি সীমা পরিসীমা নেই।
উত্তর মনতলা গ্রামের অটেরিক্সা চালক হাদিস (১৫) ও মোশাররফ (২৪) তারা উভয়েই এই সড়ক থেকে মাষ্টারবাড়ী হয়ে কটিয়াদী পর্যন্ত রাস্তায় নিয়মিত অটোরিক্সা চালিয়ে থাকেন। তাদের দাবী, রাস্তাটির দ্রুত সংস্কার হোক।
এ বিষয়ে মনোহরদী উপজেলা প্রকৌশলী মীর মাহিদুল ইসলাম জানান, রাস্তাটির উন্নয়নে তারা একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছেন এবং তা অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছেন। অনুমোদন পেলেই টেন্ডার হবে। তবে কবে নাগাদ সেটি হতে পারে তা অবশ্য বলতে পারেননি তিনি।