নিজস্ব প্রতিবেদক : নরসিংদীর মনোহরদীতে প্রেমিকার টিকটক আইডি উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে আহত প্রেমিক শরিফ মিয়ার (২১) মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
এর আগে গত মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার চন্দনপুর গ্রামে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয় সে।
নিহত শরিফ চালাকচর ইউনিয়নের বাঘবের গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, মাধুপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণি পড়ুয়া এক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল শরিফের। শরিফ প্রবাসে চলে যাওয়ার পর চন্দনবাড়ী ইউনিয়নের চন্দনপুর গ্রামের আতিকুল ইসলামের ছেলে শাকিলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ায় মেয়েটি। শাকিল তার প্রেমিকার টিকটক আইডির পাসওয়ার্ড জানত। শাকিল প্রেমিকার টিকটক আইডিতে বিভিন্ন ধরনের আপত্তির ভিডিও আপলোড দিত। এ নিয়ে প্রেমিক শাকিল ও প্রবাস ফেরত সাবেক প্রেমিক শরিফের মাঝে দ্বন্ধ বাঁধে।
শরিফ মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার চন্দনপুর গ্রামে শাকিলকে টিকটক আইডিতে আপত্তিকর ভিডিও না ছাড়তে নিষেধ করে ও আইডির পাসওয়ার্ড চায়। শাকিল তা দিতে অস্বীকার করে এবং ছুরি দিয়ে শরিফকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এতে শরিফ রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
স্থানীয় লোকজন শরিফকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তার অবস্থায় অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার বিকালে তাঁর মৃত্যু হয়। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে নিহতের পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে।
কাঁদতে কাঁদতে নিহতের বাবা মফিজ উদ্দিন বলেন, ছেলেকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল। খুনিদের ছুরির আঘাতে সব শেষ হয়ে গেলো। আমার ছেলেকে যাঁরা হত্যা করেছে আমি তাঁদের বিচার চাই।
এ বিষয়ে মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, প্রেমের ঘটনার জের ধরে এই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর নিহতের চাচা মহিউদ্দিন বাদী হয়ে শাকিলকে প্রধান আসামী করে ৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করে। শরিফের মৃত্যুতে সেই মামলা হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে। এই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।