সাইফুর নিশাদ, মনোহরদী প্রতিনিধি : একটিমাত্র বাঁশের সাঁকোর বাঁধার কারনে আড়িয়াল নদের প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ঘনকচুরী আটকেছে। ফলে মৎস্যজীবিরা মাছ আহরনে বঞ্চিত হওয়াসহ দু’পাড়ের কম করেও ৫/৬ টি গ্রাম জনপদে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
মনোহরদীতে আড়িয়াল খাঁ নদের প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকায় ঘন কচুরীপানার কারনে নানা দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। এতে নদে ৭/৮ ফুট গভীরতার পানিতে পর্যন্ত নজর পড়ে না। কিছু দিন আগে নদটি খননের পর এটি টলটলে জলে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। তাতে মৎস্য সম্পদেরও আগমন ঘটে।
নদের পাড়ে বসবাসকারী মনোহরদীর রামপুর গ্রামের জেলে সম্প্রদায়ের লোকজন জানান, গত নভেম্বরের দিকে আড়িয়াল খাঁ নদে ড্রেনেরঘাট ব্রীজের নীচে এপার ওপার জুড়ে একটি বাঁশের সাঁকো দেয়া হয়। সেই থেকে নদটির বৈরাগীর চর এলাকা থেকে শুরু করে ড্রেনেরঘাট ব্রীজ পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ঘন কচুরীপানা আটকে থাকে।
এ কারনে রামপুর গ্রামের মৎস্যজীবিগন নদের মাছ আহরন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ কচুরীপানার কারনে শুধু তারাই নন, দু’পাড়ের শৌখিন মৎস্য শিকারীসহ
জনপদসমূহের উপকার ভোগীগন নদের পানি চোখেও দেখছেন না।
সরেজমিনে গেলে রামপুর গ্রামের মৎস্যজীবি অনিল বর্মন (৭৫), স্বদেশ বর্মন (৪৮), রিটন বর্মন (৩৭) ও শ্রীবাস বর্মন (৩৩) এসব তথ্য জানিয়ে অবিলম্বে এ বাঁশের সাঁকোটি অপসারনের দাবী জানিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে সাঁকোদানকারীদের অন্যতম পাকুন্দীয়া উপজেলার নরপতি গ্রামের রফিকুল ইসলাম (৩৬) জানান, নদের অপর পাড়ে মনোহরদী অংশে তাদের আবাদী জমি রয়েছে। সেখানে সহজে যাতায়াতের স্বার্থে তারা এখানে এ বাঁশের সাঁকোটি দিয়েছেন। তিনি একে আড়িয়াল খাঁ নদের বিস্তির্ন এলাকা জুড়ে কচুরীপানা আটকে থাকা ও মৎস্য সম্পদ আহরনের প্রতিবন্ধকতা হিসেবে মানতে নারাজ। সেরকম হলে যেকোন সময় সাঁকোটি তুলে নিতে তারা সম্মত বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে মনোহরদীর সিনিয়ার উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ জিয়া উদ্দীন জানান, বিষয়টি তার জানা ছিলো না, খোঁজ নিয়ে বিষয়টি দেখবেন তিনি।সত্যি হলে প্রশাসনের সহায়তায় অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।