নিজস্ব প্রতিবেদক : পিঠা বাংলাদেশের সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। তবে নগরায়ণের প্রভাবে আজ তা অনেকটাই বিলুপ্তির পথে। হাজার বছর আগ থেকেই কৃষকের ঘরে হেমন্তের ফসল উঠলে তৈরি হতো নানান রকমের পিঠা। এই ধারাবাহিকতা চলত শীতকাল পর্যন্ত। যান্ত্রিক জীবনে যা আজ অনেকটাই হারাতে বসেছে।
নগর সংস্কৃতির প্রভাবে হারিয়ে যাওয়া পিঠা নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচিত করতে নরসিংদী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের আয়োজনে ও ইন্সটিটিউট শাখা ছাত্রলীগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আজ বুধবার দিনব্যাপী ইন্সটিটিউট মাঠে শীতকালীন পিঠা উৎসব ২০২৩ আয়োজন করা হয়েছে।
উৎসবে পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা ৭ টি স্টল নিয়ে অংশগ্রহণ করে। গ্রাম-বাংলার প্রায় ৩০ রকমের পিঠার সাথে পরিচিয় করানোর পাশাপাশি বিক্রিও করা হয়।
উৎসবে চিতই পিঠা, দুধ চিতই, ভাঁপা পিঠা, চৈ পিঠা, পোয়া পিঠা, পাকন পিঠা, পাটিসাপটা পিঠা, নারকেলের নাড়ু, নকশি পিঠা, ফুল পিঠাসহ বিভিন্ন পিঠা স্থান পায়।
শীতের সকালে পিঠা উৎসবে আয়োজিত পিঠার স্টলগুলো নানা সাজে সজ্জিত হয়ে ওঠে। শিক্ষার্থীদের ব্যাপক আনন্দ ও উৎসাহে কোলাহলমুখর হয়ে ওঠে নরসিংদী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট প্রাঙ্গণ। উৎসব চলে দুপুর পর্যন্ত ।
এসময় নরসিংদী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মোঃ রেজাউল করিম, চিফ ইন্সট্রাক্টর হাফিজা আশা, আবু হানিফ, মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, মোঃ জামিলুর রহমান, মোঃ কামাল হোসেন সহ আরো অনেক শিক্ষক স্টলগুলো পরিদর্শন করেন।
নরসিংদী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আসিফ সরকার ও সাধারণ সম্পাদক রাকিব হাসান জানান, ‘ আমাদের এই ইন্সটিটিউটের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এরকম একটি আয়োজন করায় আমরা অত্যন্ত গর্বিত। এই উৎসবে সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে জাঁকজমক ভাবে এই প্রথম পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এই পিঠা উৎসব আয়োজন করার জন্য ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মোঃ রেজাউল করিম স্যারসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমরা ভবিষ্যতে এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাই। এই রকম অনুষ্ঠানের ফলে সিনিয়র এবং জুনিয়রদের সঙ্গে এক মধুর সম্পর্ক তৈরি হবে।
অনুষ্ঠানের সার্বিক পরিচালনা করেন নরসিংদী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজিম উদ্দিন ও মাইনুল ইসলাম ইমন। পরে পিঠার স্টল দিয়ে উৎসবে অংশ করা সবাইকেই পুরস্কৃত করেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ।