নরসিংদীর বেলাবতে চাকরীর প্রলোভন দেখিয়ে ঘরে আটকে রেখে এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার ধর্ষিতা কিশোরীর পিতা বেলাব থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এর আগে রবিবার বেলাব উপজেলার নারায়নপুর বাজারস্থ খোরশেদ মিয়া নামে এক ব্যক্তির ভাড়া বাসায় কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
এদিকে মামলা দায়েরের পর পুলিশ আজ মঙ্গলবার ধর্ষক মোহাম্মদ আলী ও ধর্ষণে সহযোগীতার অভিযোগে জুয়েনা আক্তার ও তার স্বামী খোরশেদ আলমসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার (১৩ নভেম্বর) সকালে উক্ত কিশোরী ভৈরব উপজেলার শম্ভুপুর গ্রামের তার এক বান্ধবীর বাড়িতে বেড়ানো শেষে সকালে যাতায়াত পরিবহনের একটি যাত্রীবাহি বাসে করে বেলাব উপজেলার নারায়নপুর এলাকার তার কর্মস্থলে আসার পথে বাসের মধ্যেই পরিচয় হয় রায়পুরা উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের পাহাড়কান্দি গ্রামের খোরশেদ মিয়ার স্ত্রী জুয়েনা আক্তারের সাথে।
এসময় উক্ত কিশোরীর সাথে কথাবার্তার এক পর্যায়ে চাকরীর প্রলোভন দেখিয়ে জুয়েনা আক্তার কিশোরীকে তার নারায়নপুর এলাকার ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। পরে উক্ত কিশোরীকে খাবার খাইয়ে বিশ্রাম নিতে বলে ঘরের বাইরে চলে যায় জোয়েনা আক্তার ও তার স্বামী খোরশেদ মিয়া।
এদিনই বিকাল ৪ টার দিকে তাদের সহযোগীতায় পাশ্ববর্তী রায়পুরা উপজেলার পাহাড়কান্দি গ্রামের মৃত মোসলেম মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আলী (৪০) ও একই গ্রামের মৃত সাদেক মিয়ার ছেলে সোহরাব হেসেন(৪০) ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে জোড়পূর্বক কিশোরীকে ধর্ষণ করে চলে যায়।
এসময় ধর্ষিতার চিৎকারে ভাড়া বাসার মালিক খোরশেদ মিয়া ও তার স্ত্রী জুয়েনা আক্তার এসে ঘটনাটি কাউকে না বলার জন্য কিশোরীকে শাসায়। পরদিন সোমবার আবার ধর্ষিতা কিশোরী খোরশেদ মিয়ার ভাড়া বাসায় গিয়ে স্থানীয়দের ঘটনাটি জানিয়ে বিচার দাবি করলে স্থানীয়রা খোরশেদ মিয়া ও তার স্ত্রী জুয়েনাকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ দুইজন ধর্ষকের মধ্যে মোহাম্মদ আলীকেও গ্রেপ্তার করে।
ধর্ষিতা কিশোরীর পিতা বলেন, এ ঘটনায় আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি। আমার মেয়ের সর্বনাশ যারা করেছে তাদেরকে যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হয়।
বেলাব থানার ওসি তানভীর আহমেদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরা অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা একজন ধর্ষক ও ধর্ষণের সহযোগীতাকারী দুইজনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছি।
নরসিংদীর কন্ঠস্বর / আ. পাঠান/ ২০: ৫৮