নিজস্ব প্রতিবেদক : নরসিংদীতে চালককে হত্যা করে অটো ছিনতাইয়ে জড়িত দুইজন সহ আন্ত:জেলা ডাকাত দলের ৫ সদস্যকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আজ সোমবার দুপুরে নরসিংদী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো : আল-আমিন। এর আগে, রবিবার রাতে মাধবদী থানার বালুসাইর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো, নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ থানার দেওথান গ্রামের আয়নুল হকের ছেলে মাসুদ রানা (২৪), ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর থানার মনোহর গ্রামের মৃত মান্নান হাওলাদারের ছেলে মো. মিজান (৩৫), একই থানার কাঠিপাড়া গ্রামের মৃত সুলতান হাওলাদারের ছেলে মো. শাহাবুদ্দিন (২৯), শরীয়তপুর জেলার পালং মডেল থানার পশ্চিম চরসন্ধি গ্রামের নুরুল আমিন মল্লিকের ছেলে মোঃ ইকবাল হোসেন মল্লিক (৩৬) ও বরিশাল জেলার মূলাদী থানার ভেলরিয়া গ্রামের মজিবুর এর ছেলে মোঃ ইমরান (৩২)।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রবিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশ জানতে পারে একদল ডাকাত ডাকাতির উদ্দেশ্যে মাধবদী টু নরসিংদী আঞ্চলিক সড়কের বালুসাইরে ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হয়েছে। পরে সেখানে অভিযান পরিচালনা করে ৫ জনকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি প্রাইভেটকার, ০১টি মোটরসাইকেল, ০১টি কাটার, ০১টি কাঠের হাতল বিশিষ্ট রামদা, ০২টি লোহার তৈরী পাইপ উদ্ধার করা হয়। তারা মাধবদী ও নরসিংদী এলাকায় রাস্তায় ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে সমবেত হয়েছিল।
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, আটককৃত পাঁচজনের মধ্যে মাসুদ ও ইকবাল গত ৬ সেপ্টেম্বর ব্যাটারিচালিত অটো চালক মোখলেছুর রহমানকে হত্যা করে সেই অটো ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত। এই ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত আসামী আবুল কালাম আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীতে মাসুদ রানা ও ইকবাল হোসেন মল্লিকের নাম প্রকাশ করে। আবুল কালাম জেল হাজতে থাকায় মাসুদ রানা ও ইকবাল হোসেন মল্লিক আটককৃত আসামীদের নিয়ে নতুন দল গঠন করে ডাকাতির পরিকল্পনা করে। আসামী মাসুদ ও ইকবালকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখাইয়া ও বাকীদের ডাকাতির প্রস্তুতির মামলায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আল-আমিন বলেন, আসামী মাসুদ রানা’র বিরুদ্ধে চালককে অজ্ঞান করে অটো ছিনতায়ের ডিএমপিতে ০৫ টি এবং নেত্রকোনা জেলায় সদর থানায় ১টি মামলা রয়েছে। আসামী মোঃ ইকবাল হোসেন মল্লিকের বিরুদ্ধে চালককে অজ্ঞান করে অটো ছিনতায়ের ডিএমপিতে ০২টি এবং শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী থানায় ০১টি মামলা রয়েছে। আর আসামী মো. মিজানের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন ও মাদক মামলা সহ ডিএমপিতে ০৩টি এবং ঢাকার আশুলিয়া থানায় ডাকাতির প্রস্তুতির ০১ টি মামলা রয়েছে। জেলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গোয়েন্দা পুলিশের এধরনের অভিযান অব্যহত থাকবে।