নিজস্ব প্রতিবেদক : নরসিংদীর পাঁচদোনা-ঘোড়াশাল আঞ্চলিক সড়কের চাকশাল এলাকায় বাস-মাইক্রোবাস ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার ত্রিমুখী সংঘর্ষে মারাত্মক আহত মাখন (৩৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (১৫ জুন) সন্ধ্যায় নরসিংদী নিহত মাখন মিয়ার ভাই মনির হোসেন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এই নিয়ে নিহতের সংখ্যা দাড়ালো দুই জনে। এর আগে ঘটনাস্থলেই তৃষা নামে (১২) এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
রোববার দুপুরে সদর উপজেলার পাঁচদোনার চাকশাল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তৃষা রায়পুরা উপজেলার বাঁশগাড়ী এলাকার সেলিম মিয়ার মেয়ে এবং মাখন মিয়া বেলাব উপজেলার আমতলী গ্রামের আলম মিয়ার ছেলে। তিনি মাইক্রোবাসের চালক ছিলেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা যাতায়াত পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস বেপরোয়া গতিতে দুপুর ১২টার দিকে পাঁচদোনার চাকশাল এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা ঘোড়াশালগামী সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মাইক্রোবাসের (হাইয়েচ) এর সাথে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় অটোরিকশা ও মাইক্রোবাস দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে অটোরিকশায় থাকা তৃষা নামের শিশুটি ঘটনাস্থলেই মারা যায় এবং অটোরিকশা ও মাইক্রোবাসের ১২ যাত্রী আহত হয়। ঘটনার পর স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মাখন মিয়া নামে আরও এক যুবকের মৃত্যু হয়।
মাধবদী থানার উপপরিদর্শক জুয়েল রানা জানান, বাস, মাইক্রোবাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার ত্রিমুখী সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই তৃষা নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘাতক বাসটি আটক করা হয়েছে। চালক পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। এছাড়া মাইক্রোবাসের চালককে ঢাকায় নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়েছে বলে শুনেছি।