নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন বলেছেনে অনির্বাচিত ব্যক্তিদের কাছে দেশ জাতি নিরাপদ নয় । জনগণের ক্ষমতা জনগনের কাছে হস্তান্তর করতে হবে। অনির্বাচিত সরকার দীর্ঘদিন থাকলে সেখানে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয়। রাজনৈতিক সংকট অর্থণৈতিক সংকট ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরী হচ্ছে। ফ্যাসিষ্ট ও তাদের দোষররা বাংলাদেশ থেকে ৩০ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। সেই টাকা দিয়ে তারা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে।
চিনিশপুর জেলা বিএনপির র্কার্যালয়ে পবিত্র ঈদুল আজাহা উপলক্ষে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন প্রসঙ্গে অন্তবর্ত্তীকালিন সরকারকে ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন,দুই একটি দলকে আগামীদিনে ভালো অবস্থানে নেওয়ার জন্য তিনি চিন্তা করেন, তাহলে তিনি তার সরকারের নিরপেক্ষতা হারাবেন। তাই আমাদের আহবান অন্তবর্ত্তীকালিন সরকার, জনগনের পালস্ বুঝবেন। কারন আমরা চাইনা আস্থার সংকটের কারনে জনগন আবার রাস্তায় নামুক।
সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সংস্কার একটি চলমান পক্রিয়া। সংস্কার বা বিচারের কথা বলে নির্বাচন প্রলম্বিত করা ছিক হবে না।
তিনি বলেন,৯০ এর স্বৈরশাষক পতনের পর অতন্ত্য চ্যালেঞ্জের মধ্যও কিন্তু ৩ মাসের মধ্যে নির্বাচন হয়েছিল। এবং অতন্ত্য সুন্দর একটি নির্বাচন হয়েছিল। সেই নির্বাচন নিয়ে দেশি বিদেশী কেউ কোন মন্তব্য করেনি।
৫ই আগষ্টের পর ১০ মাস চলে গেল, সরকার এখনো নির্বাচনের সুনিদিষ্ট রোডম্যাপ ও দিন তারিখ ঠিক করতে পারেনি। তাই সরকারের প্রতি জনগন ও নেতাকর্মীদের মধ্যে আস্থার সংকট তৈরী হচ্ছে। এবং সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে বড় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তারা কি চাচ্ছেন? কাকে ক্ষমতায় আনতে চাচ্ছেন? তারা কি জনগনের ক্ষমতায় বিশ্বাস করেন না।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা থেকে শুরু করে অন্যান উপদেষ্টার মধ্যে সমন্বয়ের অবাব দেখা যাচ্ছে। তাদের কথাবার্তাও অসংগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। তাদের রাষ্ট্র পরিচালনার অভিজ্ঞতা নেই। তাই দেশে লেজে গোবরে অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে দেশে আইন শৃংখল্যার অবনতি হচ্ছে। বিদেশী বিনিয়োগ হচ্ছে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এম,এ জলিল, আব্দুল বাসেত ভূইয়া, আবু সালেহ চৌধুরী, ফারুক উদ্দিন ভূইয়া, বি,জি, রশিদ নওশের, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনু, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আওলাদ হোসেন মোল্লা, শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সোহেলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের অন্যান্য নেতা কর্মীরা।