নিজস্ব প্রতিবেদক : নরসিংদীর পলাশ উপজেলার জিনারদীতে “নরসিংদী কমিউটার” ট্রেন যাত্রা বিরতি দেয়ার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সকালে উপজেলার জিনারদীতে এলাকাবাসী ও স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে স্থানীয়রা জানান, বাংলাদেশ রেল যাত্রা শুরু থেকে জিনারদীতে রেল স্টেশন চালু হয়। সেই সময় চার থেকে পাঁচটি ট্রেন চলাচল করলেও দুর ভাগ্যজনকভাবে এই রেল স্টেশনে এখন একদিন পরপর শুধুমাত্র কর্নফুলি ও নোয়াখালী এক্সপ্রেস ট্রেন মাত্র ৩০ সেকেন্ড করে যাত্রা বিরতি দিয়ে থাকে। এছাড়া অন্য কোন আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রা বিরতি না থাকায় রেল যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এই এলাকার জনসাধারণের ট্রেন ছাড়া অন্যান্য যানবহনে যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো না থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাই গত ২৬ শে মার্চ থেকে চলাচলকারী “নরসিংদী কমিউটার”ট্রেন যাত্রা বিরতি দেওয়ার দাবি জানান স্থানীয়রা। এই দাবি পূরণ না হলে অথবা নরসিংদী কমিউটার ট্রেন যাত্রা বিরতির জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত না হলে বৃহত্তর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন তারা।
এ সময় বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংগঠন উত্তরণ ক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ আজিম মিয়া, মানববন্ধনের সমন্বয় মাসুদ খান, উত্তরণ ক্লাবের সদস্য খোরশেদ আলম, মনিরুজ্জামান ইমন, সজন, ড্রিমার্স ক্লাবের আসাদুজ্জামানসহ অন্যরা।
মানববন্ধনে উত্তরণ ক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ আজিম মিয়া বলেন, ডিনারদী রেলস্টেশন চালু হওয়ার পর থেকে বেশ কয়েকটি ট্রেন নিয়মিত যাতায়াত করত কিন্তু বর্তমানে দুটি মাত্র লোকাল ট্রেন তাও একদিন পরপর সামান্য সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি দিয়ে থাকে। এই রেলস্টেশন থেকে স্বৈরাচারী এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের জন্য এই এলাকার মানুষ জড়ো হয়। শুধু তাই নয় বাংলাদেশের প্রতিটি আন্দোলনের ক্ষেত্রে এই এলাকায় মানুষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।
এছাড়া এলাকায় ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের নেতা বিজয় চ্যাটার্জী থেকে শুরু করে সাবেক খাদ্য মন্ত্রী আব্দুল মোমেন খান ও সাবেক মন্ত্রী ডঃ আব্দুল মঈন খান সহ অসংখ্য গুণী ব্যক্তিদের জন্মস্থান এখানে। এছাড়াও এই এলাকা থেকে প্রচুর পরিমাণে কলা ও শাক সবজি নিয়মিত ঢাকার বাজারে যাওয়ার জন্য এই ট্রেনই একমাত্র ভরসা। এলাকার সকল দিক বিবেচনা করে এখানে নরসিংদী কমিউটার ট্রেনটি যাত্রা বিরতি দেওয়ার দাবি জানানো হয়। এই দাবি কর্তৃপক্ষ সহজেই মেনে নেবেন বলে আশা করেন তারা। এই দাবি সহজে মেনে না নিলে এই এলাকার সকলকে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের মাধ্যমে এখানে নরসিংদী কমিউটার ট্রেন যাত্রা বিরতি করানো হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন স্থানীয়রা। মানববন্ধনে প্রায় সহস্রাধিক জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।