সাব্বির হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক : নরসিংদীর পলাশে দোয়া, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় দৈনিক সংবাদ এর প্রধান সম্পাদক, দেশের প্রগতিশীল ধারার রাজনীতির পুরোধা ব্যক্তিত্ব ও সাবেক সংসদ সদস্য আহমদুল কবির মনু মিয়ার ২১তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়েছে।
আজ রবিবার (২৪ নভেম্বর) সকালে তাঁর জন্মস্থান উপজেলার ঘোড়াশাল মিয়া বাড়িতে পবিত্র কুরআন খতমের মধ্যদিয়ে মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শুরু হয়।
পরে দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানমালায় ছিল মরহুমের কবরে বিভিন্ন-শ্রেণী পেশার মানুষের পুষ্পস্তবক অর্পণ, এতিম ও দুস্থদের মধ্যে উন্নত মানের খাবার বিতরণ, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা।
সকালে মরহুমের সমাধিতে আহমদুল কবির মনু মিয়া স্মৃতি সংসদের পক্ষে প্রয়াত আহমদুল কবিরের বড় ছেলে সংবাদ এর সম্পাদক আলতামাশ কবিরে নেতৃত্বে সংসদের সাধারণ সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক কার্তিক চ্যাটার্জিসহ নেতাকর্মী কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এরপর গণতন্ত্রী পার্টি, সংবাদ পরিবার, সাংবাদিক সংগঠন,পাঁচদোনা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মো: মনির হোসেন প্রধান, ঘোড়াশাল পৌরসভার সাবেক কমিশনার নুরুল ইসলাম, মেসার্স ইসলাম ট্রান্সপোর্ট এজেন্সী এন্ড মেসার্স ইসলাম ট্রেডার্স নেহাব ও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
বেলা সাড়ে ১১টায় আহমুদুল কবির মনু মিয়ার উপর স্মৃতিচারণ করে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে তাঁর মেয়ে ব্যারিস্টার নিহাদ কবির সভাপতিত্ব করেন।
এসময় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ডাংগা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ ইকবাল হোসেন, আহমদুল কবির (মনু মিয়া) স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক কার্তিক চ্যাটার্জী, সহ-সভাপতি ও পাঁচদোনা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মনির হোসেন প্রধান, স্মৃতি সংসদের ডাঃ বিজয় বণিক, গণতন্ত্রী পার্টির নেতা মিনহাজ শাহরিয়ার, সমাজ সেবক শাহাজাহান মিয়া ও দৈনিক সংবাদের সম্পাদক আলতামাশ কবির প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, আহমুদুল কবির মনু মিয়া ছিলেন আমাদের অভিভাবক, দেশের ক্রান্তিলগ্নে তাঁর মতো মানুষের খুবই দরকার ছিল। তিনি ছিলেন একজন আদর্শবান ত্যাগী রাজনৈতিক নেতা। আহমুদুল কবিরের জন্যই পলাশ উপজেলায় এখন দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পাঞ্চল গড়ে উঠেছে।
তিনি গরিব দুঃখিদের দান করতেন অকাতরে কিন্তু প্রচার করতেন না। জীবদ্দশায় তাকে বহুবার মন্ত্রী হবার জন্য অনুরোধ করা হলেও ত্যাগের মাহিমান্বিত আদর্শে তিনি মন্ত্রীত্ব গ্রহণ করেননি।
তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র সংবাদের সম্পাদক ও কণ্য ব্যারিস্টার নিহাদ কবির নিজেদের বাবার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, বাবা আমাদের বলতেন, তোমরা ত্যাগী হও, আদর্শবান হও, দেশ ও দশের সেবার করো। তোমরা এমনভাবে দান করবা যেন ডান হাতে দান করলে তোমার বামহাত না জানে। আপনারা দোয়া করবেন আমরা যেন বাবার মতো আদর্শবান হয়ে দেশ- দশের সেবা করতে পারি। আমাদের দরজা সবার জন্যই খোলা।