নিজস্ব প্রতিবেদক : রাত পোহালেই কোরবানির ঈদ আর মুহূর্তে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার বাজারে হঠাৎ বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম। বর্তমানে বাজারে মরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা।
বেশ কয়েক দিন ধরেই অস্থির কাঁচামরিচের বাজার। সপ্তাহের ব্যবধানে পণ্যটির দাম কেজিতে ২৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। দাম বাড়ার পর গত সোমবারও প্রতি কেজি ২৭০ টাকায় পাওয়া গেছে কোথাও কোথাও। গতকালও পলাশের বাজারে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ৪০০ টাকা। রাত শেষে সকাল থেকে ৫০০ টাকার নিচে কাঁচামরিচের কেজি পাওয়া যাচ্ছে না।
ঊর্ধ্বমুখী বাজার নিয়ন্ত্রণে উপজেলা প্রশাসনের কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। রাজধানীর কাওরান বাজারে কাঁচামরিচের দাম ২৭০ টাকা বিক্রি হলেও রাজধানীর পাশের জেলা নরসিংদীর পলাশে তার প্রভাব পড়ছে না। এখানে ব্যবসায়ীরা ৫০০ টাকা কেজিতে কাঁচামরিচ বিক্রি করে যাচ্ছেন। এতে অস্বস্তিতে রয়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। তাদের প্রশ্ন- রাতারাতি একটি পণ্যের দাম এত বাড়ে কি করে।
উপজেলার ঘোড়াশাল বাজারে দাম শুনে হতবাক মো. শফিকুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা। তিনি বলেন, বাজারে হুটহাট পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে। কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই আজকে পণ্যের দাম এক তো কাল আরেক, পণ্যের দাম দ্বিগুণ-তিনগুণ বেড়ে যাচ্ছে। ঈদের আগের দিনও কাঁচামরিচের মতো প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে ৫০০ টাকা হয়ে গেল। কোনো জবাবদিহিতা নেই। আমরা দাম বৃদ্ধিতে দিশে হারা হয়ে পড়েছি।
ঘোড়াশাল বাজারের ব্যবসায়ী নাজমুল ও আমিনুল বলেন, কাঁচা পণ্যের সরবরাহের ওপর ভিত্তি করে প্রতিদিন দাম ওঠানামা করে। আর সরবরাহ কম থাকলে দাম বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। পাশাপাশি আমদানি হলে এবং সরবরাহ বাড়লে দাম কমবে। কিন্তু প্রতি ঈদের ছুটিতে আমদানি বন্ধ থাকে এবারও যদি আমদানি বন্ধ থাকে তাহলে দাম কমার সম্ভাবনা কম।
ঘোড়াশাল বাজার বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: আবুল কাশেম জানান, রাজধানীর বাজারের তুলনায় কাঁচা মরিচের দাম এতো বৃদ্ধি পাওয়ার কথা নয়। আমি বাজার পরিদর্শন করবো, যদি অনৈতিক ভাবে কাঁচামরিচ বেশি দামে বিক্রি করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।