এম আজিজুল ইসলাম, নিজস্ব প্রতিবেদক : নরসিংদীর রায়পুরায় ঢাকা-চট্রগ্রাম সিলেট রেলপথের পৃথক স্থানে ট্রেনের ধাক্কায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটায় উপজেলার কড়ইতলা রেলক্রসিং এলাকায় একজন, দুপুরে শ্রীনিধি রেলওয়ে স্টেশন আউটার এলাকায় অপরজনের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন, রায়পুরার মির্জাপুর ইউনিয়নের গুচ্ছ গ্রামের সিদ্দিক মিয়ার ছেলে শ্রবণ প্রতিবন্ধী কাশেম মিয়া (৬৫)। তিনি পেশায় একজন সেলোমেশিন মেকানিক। চান্দেরকান্দি ইউনিয়নের কড়ইতলা গ্রামের সুচেন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে কর্ণ বিশ্বাস (৬২)। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন।
নিহতদের স্বজন ও স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার আনুমানিক বেলা সাড়ে আটটার দিকে শ্রবণ প্রতিবন্ধী কাশেম মিয়া উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের সাধুনগর গ্রামের পাশে থাকা রেল লাইন ধরে হাটছিলেন। এসময় পেছন থেকে আসা ঢাকা মুখী এগারোসিদ্ধুর এক্সপ্রেস তাকে ধাক্কা দিলে সে রেল লাইনের পাশে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।
অপর দিকে একই উপজেলার চান্দেরকান্দি ইউনিয়নের কড়ইতলা গ্রামের মানসিক ভারসাম্যহীন সুচেন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন কর্ণ বিশ্বাস (৬২)। দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে শ্রীনিধি রেলস্টেশনের পশ্চিম পাশে আউটারে পাশ দিয়ে রেল পাড় হতে গেলে চট্রগ্রাম অভিমুখী কর্নফুলি এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় রেললাইনের পাশে ছিটকে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। নিহতদের নিজ গ্রামের পাশেই ঘটনাটি ঘটায় পুলিশ খবর পাওয়ার আগেই স্বজনরা মরদেহ দুটো বাড়ি নিয়ে যান।
নিহতের স্বজন বৃদ্ধা ফজিলা বেগম বলেন, কাসেম আজ সকালে বাড়ি থেকে বের হন। রেললাইন ধরে হেটে সাপমারা এলাকায় কাজের পাওনা টাকা আনতে যান। এসময় উভয় লাইনে একই সময় দুটি ট্রেন যাচ্ছিল। পরে ট্রেন পিছন থেকে তাকে ধাক্কা দিলে রেললাইনের পাশে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে বাড়ি নিয়ে এসে দাফন সম্পুর্ণ করা হয়।
নিহত কর্ণ বিশ্বাসের ছেলে তাপস বিশ্বাস বলেন, দুপুরে শ্রীনিধি রেলস্টেশনের পাশে বাবা ট্রেনের ধাক্কায় নিহত হওয়ার সংবাদ পেয়ে বাড়িতে নিয়ে আসি। বাবা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। যখন যে দিকে ইচ্ছে চলে যেতেন। ধারণা করা হচ্ছে মেয়ের বাড়ি উত্তর বাখরের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। মৃতদেহ দাহ্যের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
ভৈরব রেলওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক হাসানুজ্জামান রুমেল বলেন, সাংবাদিকদের মাধ্যমে এ বিষয়ে খবর পেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কে জানিয়েছি এবং খোঁজ খবর নেয়ার চেষ্টা করছি।