1. admin@narsingdirkanthosor.com : admin :
মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ০৪:২৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
এটিএম বুথের ভিতরে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে আসামি গ্রেপ্তার পলাশে নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ কিশোর, ৬ ঘন্টা পর মরদেহ উদ্ধার মোস্তফা মহসিন মন্টুর মৃত্যুতে দেশ হারালো এক বলিষ্ঠ দেশ প্রেমিককে : মঈন খান শিবপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী ও কিশোর গ্যাংয়ের মূলহোতা অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার নরসিংদীতে ব্রিজ থেকে লাফ দিয়ে নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ কিশোর পলাশে কলাবাগান থেকে উদ্ধার রক্তাক্ত মরদেহের পরিচয় মিলেছে ঘোড়াশাল-পাঁচদোনা সড়কে তিনগাড়ির ত্রিমুখী সংঘর্ষে আহত যুবকেরও মৃত্যু পলাশে বিএনপির শোডাউনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ৩ বেলাব-মনোহরদী আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী জুয়েলের গণসংযোগ দেশে চব্বিশ ঘন্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত ২৪৯ জন হাসপাতালে ভর্তি, একজনের মৃত্যু

পলাশে সাবেক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের জমি দখল নেয়ার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক | নরসিংদীর কন্ঠস্বর
  • প্রকাশিতঃ বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৪
  • ১২৭ বার
Oplus_131072

নিজস্ব প্রতিবেদক : নরসিংদীর পলাশে ৫০ নং পূর্ব ঘোড়াশাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দানকৃত জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে ওই বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মাধব মিত্রের বিরুদ্ধে। বিদ্যালয়ে দায়িত্বে থাকাকালীন তিনি দানকৃত জমিতে গড়ে তুলেছেন বসতভিটা ও সমিতির প্রতিষ্ঠান। এতে করে কমে যায় ওই বিদ্যালয়ের জমির পরিমান। জমি হারিয়ে বিদ্যালয়টি এখন অনিশ্চয়তায় ভোগছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে জানা যায়, ১৯৮৪ সালে ঘোড়াশাল দিগদা গ্রামে এলাকাবাসীর সহযোগীতায় প্রতিষ্ঠিত হয় ৫০ নং পূর্ব ঘোড়াশাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করতে ওই গ্রামের কৃষ্ণচরণ মিত্র ও রাজেন্দ্র মিত্র নামে দুই ব্যাক্তি ৩৩ শতাংশ জমি দান করেন। প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কৃষ্ণচরণ মিত্রের ছেলে মাধব মিত্র। দীর্ঘ সময় প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে থাকাকালীন মাধব মিত্র বিদ্যালয়ের দানকৃত জমির অধিকাংশই দখলে নিয়ে নেয় নিজের কবজায়। জমিতে গড়ে তুলেন বসতভিটা ও অনুপম কো-অপারেটিভে ক্রেডিট ইউনিয়ন নামে এক সমিতির স্থাপনা। অন্যদিকে বেদখলে থাকায় কমতে থাকে বিদ্যালয়ের জমি। সর্বশেষ ২০১১ সালে বিআরএস জরিপে বিদ্যালয়ের ৩৩ শতাংশ জমির পরিবর্তে রেকর্ড হয় ২০ শতাংশ জমি। তবে ওই জমির একটি অংশ দাবি উঠে রেলওয়ের। বিদ্যালয়ের প্রকৃত জমি পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে দায়িত্বরত শিক্ষকরাও। পূর্ব ঘোড়াশাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আমিনুল ইসলাম জানায়, এই বিদ্যালয়টি ১৯৮৪ সালে স্থাপিত হয়। স্থাপিত হওয়ার সময় এই বিদাদায়ের নামে ৩৩ শতাংশ জমি দান বাবদ দলিল হয়। ১৯৮৪ সাল হতে এই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসাবে জমিদাতা শ্রী কৃষ্ণ চরন মিত্রের পুত্র বাবু মাধব চন্দ্র মিত্র দায়িত্ব পালন করেন। দায়িত্ব পালন কালে বিদ্যালয়ের সমুদয় তথ্যাদি ও কাগজপত্র তার নিকটেই থাকে। ২০২০ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করার পর তখনকার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককের দায়িত্ব পালন করেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক মিয়া। তার নিকট বিদ্যালয়ের নামে ৩৩ শতাংশের একটি সাব কাওলা জমির দলিল ও বিআরএস পর্চা ২৭.১২ শতকের বুঝিয়ে দিয়ে যান সাবেক প্রধান শিক্ষক। আব্দুর রাজ্জাক দায়িত্ব থাকাকালীন আমলে স্থানীয় ভাবে মাপা হলে ৩৩ শতাংশ জমি হতে ১৭ শতাংশের মতো জমি দখলে পাওয়া যায়। ২০২৩ সালে নতুন প্রধান শিক্ষক হিসাবে আমি যোগদান করে আবারও জমি সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করতে গেলে বিষয়টি আমলে আনি। বাবু মাধব মিত্রকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি এ বিষয়ে কিছুই করার নেই বলে জানান। বর্তমানে ২০২৪ সালে এপ্রিল মাসে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এক জরিপ নিয়ে বিদ্যালয়ে আসেন তখন জানতে পারি এই বিদ্যালয়ের ভবনটি রেলওয়ের জমিতে আংশিক স্থাপিত আছে এমতাবস্থায় সাবেক প্রধান শিক্ষার বাবু মাধব মিত্রের কাছে আবারও যোগাযোগ করলে তিনি নানা রকম টাল বাহানা ও অজুহাত শুরু করেন। বর্তমানে আমি গত মাসের ২৬ তারিখে বাবু মাধব মিত্রের নিকট পুনরায় গেলে তিনি রেগে যান এবং বলেন, আমি জমি দিতে পারব না। পরে আমি বিযয়টি লিখিত ভাবে পলাশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে অবহিত করি।

আরো খবর..
© নরসিংদীর কন্ঠস্বর
Developed By Bongshai IT