ডেস্ক রিপোর্ট : ২৪ ঘণ্টায় হয় এক দিন। এই মাপকাঠি বিশ্বের সবার জানা। এই ২৪ ঘণ্টার পরিমাপটা মূলত পৃথিবীর নিজ অক্ষের চারদিকে ঘুরতে যে সময় লাগে, সে হিসাবেই গণনা করা হয়েছিল। কিন্তু গত ৫০ বছরের তুলনায় পৃথিবী সময়ের চেয়ে দ্রুত গতিতে ঘুরছে। গেল ২৯ জুলাই ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে পৃথিবী নিজের কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করছে। ফলে ছোট হয়ে আসছে দিন ও রাত।
নিজ কক্ষপথে ঘূর্ণনের আগের সব রেকর্ডও ভেঙে দিয়েছে পৃথিবী। এতে সবচেয়ে ছোট দিনের রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি মহাকাশ বিজ্ঞানীদের ভাবনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর আগে ২০২০ সালের ১৯ জুলাই সবচেয়ে ছোট মাসের রেকর্ড দেখেছিল বিশ্ব। ১৯৬০ সাল থেকে রেকর্ড করা তথ্যানুসারে, সেবার ১.৪৭ মিলি-সেকেন্ড কম সময়ে নিজের কক্ষপথে একবার প্রদক্ষিণ করেছিল পৃথিবী। এবার তার থেকে দশমিক ১২ মিলি-সেকেন্ড কম সময় লেগেছে। ফলে সবচেয়ে ছোট দিনের রেকর্ড গড়ল পৃথিবী।
এদিকে এমন ঘটনাকে কেয়ামতের আলামত হিসেবে উল্লেখ করেছেন বিশিষ্ট আলেমরা। তাদের মতে, পৃথিবীর নির্ধারিত মেয়াদ ও অবসানের সময় ক্রমেই ঘনিয়ে এসেছে। আর এসব আলামতের আভাস নবী করিম (সা.) নিজেই বলে গিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে মাদরাসাতুল ইনসাফের পরিচালক মুফতি শাহাদাত সাদমান বলেন, কেয়ামতের একটি অন্যতম আলামত হলো সময় সংকুচিত হয়ে যাবে। এর দুটি অর্থ। একটি হলো সময়ের বরকত কমে যাওয়া। আরেকটা বিষয় হলো সময়ের মান কমে যাওয়া। যেমন, মাস চলে যাবে দ্রুত। দিন চোখের নিমেষে পার হয়ে যাবে এমন। বিজ্ঞানীরা এখন যা গবেষণায় পাচ্ছেন, তা আমাদের নবীজি অনেক আগেই বলে গেছেন।
রাসুল (সা.) যে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, আমরা তার মধ্য দিয়েই পার হচ্ছি বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট আলেমরা। তাদের মতে, সময় ছোট হয়ে যাওয়ার অর্থ হলো সময়ের বরকত কমে যাওয়া। কেউ কেউ বলেছেন, ইমাম মাহদীর যুগে সময় ছোট হয়ে আসবে।
কেননা, তখন মানুষের মাঝে চরম সুখ-শান্তি বিরাজ করবে। সুখ-শান্তি ও আনন্দের মুহূর্তে সময় দীর্ঘ হলেও খাটো মনে হয়। আর দুঃখ-কষ্টের মুহূর্তে সময় অল্প হলেও তা অনেক লম্বা মনে হয়। আবার অনেক আলেমের মতে, কিয়ামতের আগে প্রকৃতভাবেই সময় খাটো হয়ে যাবে এবং তা দ্রুত চলে যাবে। সে হিসাবে এই আলামতটি এখন অনেকটাই প্রকাশ্য।