নিজস্ব প্রতিবেদক : নরসিংদী সদর উপজেলার আলোকবালীতে সরকারী প্রকল্পের বালুর ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গুলি ও টেটাবিদ্ধ হয়ে আহত হয় ৩ জন।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ভোরে আলোকবালীর খোদাদিলায় যুবলীগ কর্মী জাকির হোসেন ও ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জয়নাল আবেদিন গ্রুপের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, কুতুব উদ্দিন (৩৫), আব্দুল্লাহ (১৬), তৈয়ব মিয়া (১৮
জাকির গ্রুপের নৈপত্যে রয়েছে ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি এডভোকেট আসাদ উল্লাহ এবং জয়নাল আবেদিন গ্রুপে রয়েছে ইউপি চেয়ারম্যান ও সাবেক ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দীপু, ইউনিয়ন আ.লীগের সহ-সভাপতি বজলুর রহমান ফাহিম।
জানা যায়, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে মেঘনা নদী ও তার শাখা নদীর শ্রাব্যতা বৃদ্ধিতে নদী থেকে বালু উত্তোলন গত দুই মাস আগে শুরু হয়। প্রকল্প অনুযায়ী এসব বালু নদীর পাশে রাখার কথা হলেও প্রভাব বিস্তার করে আলোকবালী ইউনিয়নের সাতপড়া ও খোদাদিলা সহ বিভিন্ন গ্রামের ফসলী জমি, পুকুর, ডুবা সহ বিভিন্ন স্থান ভরাট করা হচ্ছে। আর এসব ভরাট করা বালুর জন্য প্রতি শতাংশ জায়গা ভরাটের জন্য জয়নাল আবেদিন ও ইউপি চেয়ারম্যান গ্রুপকে ১০-১৫ হাজার টাকা দিতে হচ্ছে।
ফলে, জাকির গ্রুপ তাদের ভাগ না পাওয়া ও পূর্ব আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘ দিনের বিরোধ থেকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তাছাড়াও আধিপত্যকাল বিস্তারকে কেন্দ্র করে জাকির গ্রুপ এলাকার বাহিরে ছিল। পুনরায় গ্রুপটি এলাকায় প্রবেশ করতে চাইলে আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৪ টার দিকে উভয় গ্রুপের সংঘর্ষ হয় এবং উভয় গ্রুপের অন্তত ১০ জন টেটাবিদ্ধ ও গুলিবিদ্ধ হয়। এদের মধ্যে কুতুব উদ্দিনকে আশঙ্ককজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।
নরসিংদী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহমেদ জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে দীর্ঘ দিনের বিরোধ রয়েছে। জাকির গ্রুপ এলাকায় প্রবেশ করতে চাইলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়। খোদাদিলা গ্রামটি অনেক বড়। এক দিকে ধাওয়া করলে অন্য দিক দিয়ে পালাচ্ছে। খবর পেয়ে ভোর থেকে আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।