নিজস্ব প্রতিবেদক : নরসিংদীতে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদের দুই এজেন্টকে গুলি করে ৬০ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাইকৃত টাকা উদ্ধার করা হয়।
আজ মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে নরসিংদী পুলিশ সুপারের কার্য্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, নরসিংদী শহরের শালিধা এলাকার মৃত অলি মিয়ার ছেলে বিধান মিয়া (৩০), মাধবদী থানার জীতরামপুর (চরদিগলদী) এলাকার মৃত লিটন মিয়ার ছেলে মোঃ হৃদয় (২৪) ও পলাশ উপজেলার ইছাখালী (পশ্চিমপাড়া) এলাকার মোশারফ মিয়ার ছেলে মোঃ সোলাইমান মিয়া (৩৭)।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জানায়, গত ৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে নগদ এর নরসিংদী অফিস থেকে দুইজন এজেন্ট মোঃ দেলোয়ার হোসেন পাঠান (৪০) ও মোঃ শাহিন (২৫) মোটরসাইকেল যোগে ৬০ লাখ টাকা নিয়ে রায়পুরা যাচ্ছিলেন। তারা রায়পুরা থানার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের মাহমুদ নগর এলাকার ১০ নং ব্রীজ পাকা রাস্তার উপর পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা গুলি করে টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
এসময় দেলোয়ার ও শাহীন গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। পরে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এঘটনায় মামলা দায়েরের পর ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। বুধবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নরসিংদীর পাঁচদোনা মোড় থেকে ঘটনার সাথে জড়িত বিধান মিয়া নামে একজন আসামীকে গ্রেপ্তার করেন।
এসময় তার নিকট থেকে লুণ্ঠিত টাকার মধ্যে নগদ ১৪ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়। এর আগে উক্ত ঘটনায় ১০ এপ্রিল রাতে শিবপুর থানার কলেজ গেট এলাকা থেকে ঘটনার সাথে জড়িত হৃদয় ও সোলাইমান মিয়া নামে দুইজন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে নগদের লুণ্ঠিত টাকার মধ্য থেকে নগদ ২ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে তারা বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবিন্দ প্রদান করেন।
তারা মোট ৬ জনে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়ে জনপ্রতি ১৪ লাখ টাকা ভাগবাটোয়ারা করে নেয় বলে স্বীকার করে। তদন্তের স্বার্থে নাম প্রকাশ না করে এ ঘটনায় জড়িত বাকী আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান পুলিশ সুপার। বিভিন্ন অপরাধে সোলাইমান মিয়ার বিরুদ্ধে ৪টি ও মো: হৃদয়ের বিরুদ্ধে ৩টি মামলা রয়েছে বলে জানায় পুলিশ। এঘটনায় তিনজন আসামী গ্রেপ্তার ও সর্বমোট ১৬ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।