আলমগীর পাঠান, নিজস্ব প্রতিবেদক : করলা চাষে ভাগ্যবদল হচ্ছে বেলাবরের চাষিরা। কয়েক বছর আগে বেলাব উপজেলায় চাষিরা করলা চাষ শুরু করেন। বিভিন্ন ফসলের ফাঁকে ফাঁকে সাথী ফসল হিসেবে করলা চাষ করতেন। প্রথম প্রথম স্থানীয় হাট-বাজারে এ ফসল বিক্রি করতেন তারা। পরে করলা চাষের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা আসতে শুরু করেন বেলাবরের স্থানীয় বাজারে। ফলে করলা চাষ করে লাভবান হন চাষিরা। তিতা করলাই মিষ্টি হাসি ফুটিয়েছে কৃষকের মুখে।
বেলাব উপজেলার বারৈচা বাজারে সোমবার-বুধবার-
শুক্রবার, নারায়ণপুর বাজারে শনিবার -মঙ্গলবার, শিবপুর বাজারে বরিবার- বৃহস্পতিবার’সহ দড়িকান্দি বাজারে প্রতিদিন বসে স্থায়ী বাজার। ভোর হলেই বিভিন্ন এলাকার করলা চাষিরা করলা নিয়ে বাজারে আসেন। ক্রেতারা দরদাম করে করলা কিনে ট্রাক নিয়ে রওনা হন গন্তব্যে। বর্তমানে প্রতিমণ করলা ১ হাজার ৮ শত টাকা থেকে ২০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
নারায়ণপুর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পাইকারি সবজি ব্যবসায়ী মোঃ আব্দুস সাদেক মিয়া জানান, বেলাবরের করলার গুণগত মান ভালো। তাই এখান থেকে করলা কিনে লাভ ভালো হয়। তাই তিনি এখান থেকে করলা কিনে ঢাকার বাজারে সরবরাহ করছেন।করলার দাম একটু বেশি হলে ও চাহিদা থাকায় আমরা কিনি নিয়ে ঢাকায় বিক্রি করে লাভবান হচ্ছি।
হোসেন নগরের মোঃ ফরহাদ মিয়া জানান, বাজারে করলার প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এখানকার করলা চাষিরা বেশ লাভান হচ্ছেন। অনেকেই করলা চাষ করে সফলতার মুখ দেখছেন।আমি ১৫ ঘন্ডা জমি করলা চাষ করেছি। আলহামদুলিল্লাহ ভালই বিক্রি করতেছি।
দড়িকান্দি গ্রামের মোঃ শাহাজান মিয়া বলেন,করলা অন্য ফসলের ফাঁকে ফাঁকে সাথী ফসল হিসেবে আমরা চাষ করি। করলা চাষে খরচ কম লাভ বেশি।বর্তমানে বাজারে এর চাহিদা আছে।আশা করি ভাল টাকা বিক্রি করতে পারব।
বেলাব উপজেলা কৃষি উপ সহকারী ফাতেমা বেগম জানান, কয়েক বছর ধরে করলা চাষ করে উপজেলায় চাষিরা নীরব বিপ্লব ঘটিয়েছেন। কৃষি অফিসের পরামর্শে উপজেলার অনেকেই এখন দেশি, হাইব্রিড, সোনামুখীসহ বিভিন্ন জাতের করলা চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন।আমরা কৃষকদের বিভিন্ন রকমের পরামর্শ ও দিয়ে থাকি। প্রতিদিন এখান থেকে প্রায় ১৫০ টন করলা দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে।করলা চাষ করে কৃষকরা প্রচুর লাভবান হচ্ছে।