নিজস্ব প্রতিবেদক : নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ডাংগায় পূর্ব শত্রুতা ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের সমর্থিতদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত হওয়ার তিনদিন পর মামুন মিয়া (২৫) নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার (৮ মার্চ) ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে ডাংগা ইউনিয়নের কাজীর চর গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে রাতেই নিহতের পিতা কিরন মিয়া বাদী হয়ে ওই এলাকার যুবলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন দেলুর গ্রুপ সমর্থিত সিরাজ মিয়া নামে একজনকে প্রধান আসামী করে ১৩ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত আরো ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামী করে পলাশ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পলাশ থানার ওসি (তদন্ত) মো: জসিম উদ্দিন।
স্থানীয়রা জানান, আধিপত্য বিস্তারসহ নানা কারণে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান সাবের উল হাই ও যুবলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন দেলুর সমর্থিতরা বিভিন্ন সময়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ডাংগার কাজীরচর গ্রামে পূর্ব শত্রুতা ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের জরে দুই গ্রুপের সমর্থিতদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় গ্রুপের অন্তত ৮ জন আহত হয়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত মামুন মিয়াসহ অন্যদের ঢাকা ও ঢাকার বাহিরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা। এদের মধ্যে সাবের উল হাই গ্রুপ সমর্থিত মামুন আজ ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
পলাশ থানার ওসি (তদন্ত) মো: জসিম উদ্দিন জানান, দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুরুতর আহত মামুন মিয়া নামে একজন ঢাকায় মারা গেছে বলে শুনেছি। এ ঘটনায় জড়িত আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।