নিজস্ব প্রতিবেদক : নরসিংদীর পলাশে বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক নারীর ওপর এসিড নিক্ষেপ করার অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে ভুক্তভোগীর ভাই বাদী হয়ে পলাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম পঙ্খী মিয়া (৩০) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত পঙ্খী মিয়া নারায়ণগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ উপজেলার টাওরা গ্রামের মৃত রহিম মিয়ার ছেলে। এর আগে মঙ্গলবার দগ্ধ ওই নারীকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার বাম হাত ও পিঠসহ শরীরের ১২ থেকে ১৬ শতাংশ জ্বলসে গেছে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
ভুক্তভোগী ওই নারী ও পুলিশ জানায়, এক সন্তানের জননী স্বামী পরিত্যক্তা ওই নারী ডাঙ্গা ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামে বাবার বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন। চার মাস আগে শফিকুল ইসলাম পঙ্খী মিয়া বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে ওই নারীর বাবার বাড়িতে যায়। পরে খোঁজ খবর নিয়ে পঙ্খী মিয়া মিয়ার স্বভাব চরিত্র ভাল না থাকায় বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন ওই নারী ও তার পরিবার।
এর পর শফিকুল ইসলাম পঙ্খী মিয়া বিভিন্ন সময় রাস্তাঘাটে একা পেলেই ওই নারীকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে থাকে। প্রতিবারই বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রাণ নাশের হুমকিসহ বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখানো শুরু করে পঙ্খী মিয়া।
ভুক্তভোগী ওই নারীর অভিযোগ, সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ঘরের দরজার ফাঁক দিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় তার ওপর এসিড নিক্ষেপ করে শফিকুল ইসলাম পঙ্খী মিয়া। এসময় তার চিৎকার শুনে আশে পাশের লোকজন ছুটে আসলে পঙ্খী মিয়া পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা দগ্ধ নারীকে উদ্ধার করে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে নরসিংদী সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
পলাশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে পলাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার জেরে এসিড নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম পঙ্খী মিয়াকে এ ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে সে এসিড নিক্ষেপ করার কথা স্বীকার করেছে।