সাব্বির হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক : নরসিংদীর পলাশে শতাধিক বাহারি রকমের পিঠা নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে পিঠা উৎসব। গ্রাম-বাঙলার হারিয়ে যাওয়া নানা রকমের পিঠা স্থান পেয়েছে দিনব্যাপী ওই পিঠা উৎসবে৷ দুধ চিতই, দুধ পুলি, কমলা পুলি, ইলিশ পিঠা, বউ পিঠা ও পানতুয়াসহ নানাবিধ বিলুপ্তপ্রায় পিঠার সমাহার ছিল এখানে।
মঙ্গলবার ১৬ জানুয়ারি সকালে কলেজ ক্যাম্পাসে নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলায় বাহারি রকমের পিঠা উৎসবের এমন আয়োজন করে পলাশ রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ।
নতুনদের হাতের ছোঁয়ায় এক একটি পিঠা ধারন করেছে নতুন রুপ৷ বিলুপ্তপ্রায় পিঠাকে নতুন রুপে হাজির করতে পেরে খুশি স্টলে থাকা শিক্ষার্থীরাও। মাঘের শীতকে উপেক্ষা করে পিঠা উৎসবের আনন্দে মাতে কয়েক হাজার মানুষ। বিলুপ্ত প্রায় নানাবিধ পিঠার সমাহার দেখে উৎফুল্ল সকল বয়সের দর্শনার্থীরাও৷
এ সময় পিঠা উৎসব পরিদর্শন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ডাঃ আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলিপ, পলাশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: রবিউল আলম ও ঘোড়াশাল পৌর মেয়র আল-মুজাহিদ হোসেন তুষার প্রমুখ। অতিথিরা করেছেন বাঙালীর ঐতিহ্যের ব্যাখ্যাও ।
আয়োজক পলাশ রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষ মোঃ আরিফ পাঠান বলেন, দেশীয় ইতিহাস, লোকজ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে জানা এবং লালন করার মানসেই এ পিঠা উৎসব। বাঙালীর শত বছরের ইতিহাসের সমৃদ্ধতা প্রকাশ করে এই উৎসব। পিঠা উৎসবে মোট ১২ টি স্টল অংশ নেয়। উৎসব চলে বেলা এগারোটা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত।