নিজস্ব প্রতিবেদক : পঞ্চম বারের মত নরসিংদী ৪ (মনোহদী-বেলাব) আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছন সফল শিল্প মন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, গরীব দুঃখী ও মেহনতি মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাওয়ার প্রতিদান দিয়েছে নরসিংদী-৪ মনোহরদী-বেলাব আসনের ভোটাররা।
তাই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য নারী-পুরুষ-বৃদ্ধ বনিতা সকলেই একযোগে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে শিল্প মন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনকে বিজয়ী করেছেন।
এরপর থেকেই বর্ণাঢ্য রাজনীতি জীবনের অধিকারী দু:সময়ে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া সফল শিল্প মন্ত্রী হুমায়ূনকে নরসিংদী জেলা আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন মহল থেকে আবারও মন্ত্রী সভায় স্থান দেওয়ার দাবি উঠেছে। শিল্প মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব সফলতার সাথে পালন ও মেঘা প্রকল্পগুলো সুন্দরভাবে সম্পাদন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গুডবুকে নাম থাকায় সম্ভাব্য মন্ত্রীসভার তালিকায় আলোচিত হচ্ছে বর্ষিয়ান এ রাজনীতিবিদের নাম।
নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্ণাঢ্য পরিবারের সন্তান শিল্প মন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। ওনার দাদা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম নেতা শুক্কুর মাহমুদ ১৯২৩ সালে অবিভক্ত বাংলার ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্ট ছিলেন এবং অনারারি ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর পর থেকে পরবর্তী প্রজন্ম নরসিংদীর মনোহরদী
ও বেলাব উপজেলায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। সেই ধারায় এই এলাকায় উন্নয়নে ১০০ বছর পূর্ণ করে ফেলল মজিদ পরিবার। এই পরিবারের উদ্যোগে দুই উপজেলায় রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ, কারিগরি ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠাসহ নানা উন্নয়ন কাজ হয়েছে। শিল্প মন্ত্রী নিজ অর্থে পিতা এডভোকেট. এম এ মজিদের নামে জেলা আইনজীবি সমিতি ভবন করে দিয়েছেন।
আজীবন এলাকার মানুষদের কল্যাণে নিবেদিত প্রাণ হিসেবে কাজ করে যাওয়া আওয়ামীলীগের পোড় খাওয়া প্রবীণ এই নেতা ১৯৮৬ সালে প্রথম নরসিংদী-৪ আসনের এমপি নির্বাচিত হন। পরে তিনি কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। তার পর ২০০৮ সাল থেকে টানা ২০২৪ সাল পর্যন্ত পরপর ৪ বার এই আসনের ভোটাররা জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে তাকে নির্বাচিত করেন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাস্থলে গ্রেনেড হামলায় গুরুত্বর আহত হয় শিল্পমন্ত্রী হুমায়ূন।
দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে স্প্রিন্টারের গুলি শরীরে বহন করে জীবন যাপন কর যাচ্ছেন। ২০১৮ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপি হুমায়ূনকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব প্রদান করেন। ৫ বছরে তিনি সফলভাবে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন। কৃষকদের কল্যাণে এই মন্ত্রণালয়ে থেকে সাড়ে ১৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ পলাশ ঘোড়াশাল ইউরিয়া সারকারখানা নির্মাণ করেছেন।
নরসিংদীতে সম্প্রসারিত বিসিক শিল্পনগরী উদ্বোধন, পুরাতন ঢাকার ঝুকিঁপূর্ণ ক্যামিকেল গোডাউন সরিয়ে ঢাকার বাহিরে নেওয়া, মুন্সিগঞ্জে বিসিক ক্যামিক্যাল ইন্ডাস্টিয়াল পার্ক প্রকল্প বাস্তবায়ন, গজারিয়াতে ঔষধ শিল্পের বিকাশে ইপিআইপার্ক স্থাপন, ১০ জেলায় বিএসটিআই অফিস স্থাপন ও ২৬ জেলায় অফিসের কাজ চলমান, সার বিতরণে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বাফার গোডাউন নির্মাণসহ বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছেন।
গত ১৫ বছরে মনোহরদী ও বেলাব উপজেলায় কয়েক হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন করেছেন। নরসিংদী জেলার অবকাঠামো উন্নয়নসহ ধারাবাহিক উন্নয়ন ধরে রাখতে আবারো অ্যাডভোকেট নূরুল মজিদ মাহামুদ হুমায়ূন এমপিকে সরকারের মন্ত্রী পরিষদে দেখতে চায় নরসিংদীবাসী।
জানতে চাইলে নরসিংদী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জিএম তালেব হোসেন বলেন, শিল্পমন্ত্রী এ্যাডভোকেট নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন নরসিংদী জেলা আওয়ামী পরিবারের অভিভাবক। তাঁর নেতৃত্বে আমরা জেলার ৫টি আসনের মধ্যে ৪টিতে নৌকার বিজয় পেয়েছি। এলাকায় উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছেন বিধায় জনগণ বিপুল ভোটে তাঁকে পুণরায় বিজয়ী করেছেন। বর্তমান সরকারের ন্যায় দ্বাদশ সংসদের মন্ত্রী সভায়ও নরসিংদী জেলায় মন্ত্রিত্ব থাকবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
এ্যাডভোকেট নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে চতুর্থ শিল্প বিল্পবের বাংলাদেশকে আমি কাঙ্খিত জায়গায় পৌঁছে দিতে চাই। আমার বিশ্বাস আমি সফলতার সঙ্গে শিল্প মন্ত্রণালয় পরিচালনা করেছি। এবং বাকী যে কাজ টুকু রয়েছে সেগুলো সমাপ্ত করতে এবং নরসিংদীবাসীর যে কাজগুলো বাকী আছে সেগুলো করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে তার পাশে রাখবেন।