1. admin@narsingdirkanthosor.com : admin :
রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৯:৩০ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
আবরার ফাহাদ হত্যায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন বহাল রায়পুরা উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের ইফতার মাহফিল গত ১৭ বছর গনতন্ত্র ও আইনি শাসন বলতে কিছুই ছিলো না : বেলাবতে জুয়েল পলাশে সমাজ সেবায় অবদান রাখায় সম্মাননা পেলেন এম কাইয়ুম বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে যারা উসকানি দিচ্ছে, তাদের দ্বিতীয়বার পতন হবে : মঈন খান দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লেয়ারেশন বাতিলের প্রতিবাদে বেলাবতে মানববন্ধন নরসিংদীতে ধর্ষণ ও নারীর প্রতি অন্যায়ের প্রতিবাদে মানববন্ধন পলাশে শীতলক্ষ্যা নদীতে ডুবে প্রাণ গেল দুই বন্ধুর পলাশে ঘুরতে এসে নদীতে ডুবে কিশোরের মৃত্যু বিদেশি শক্তিকে আ.লীগ এবার বিভ্রান্তি করতে পারবে না : মঈন খান

পলাশে প্রতি হাটে কলা বিক্রি হচ্ছে ৩০ লাখ টাকার

সিয়াম সরকার | নিজস্ব প্রতিবেদক :
  • প্রকাশিতঃ রবিবার, ৩১ জুলাই, ২০২২
  • ৩৮৬ বার

সিয়াম সরকার, নিজস্ব প্রতিবেদক : নরসিংদীর পলাশ উপজেলার চরসিন্দুর বাজারে সপ্তাহে দুইদিন হাটবার এলেই সরগরম হয়ে উঠে। কলা ক্রেতা ও বিক্রেতাদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে পুরো এলাকা। কলার ভালো দাম পেয়ে চাষীদের মুখে ফুটে উঠেছে হাসি।

দেশের অন্যান্য জেলার ব্যাপারীরা এ হাট থেকে কলা কিনে বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করে থাকেন। চরসিন্দুর বাজারের কলার হাটটি ১০০ বছরের বেশি আগের পুরানো হওয়ায় কলার হাট ক্রেতা ও বিক্রেতাদের কাছে বেশ পরিচিত।

সরেজমিনে চরসিন্দুর বাজারে কলার হাট ঘুরে দেখা গেছে, নরসিংদী জেলার বিভিন্ন উপজেলার কলা চাষিরা সাইকেল, ভ্যান, অটো ও পিকআপে করে কলার কাঁদি নিয়ে বিক্রি করতে এসেছেন। নানা জাতের এসব কলা কিনতে দূর দূরান্তের ব্যাপারীরাও ভিড় জমিয়েছেন।

পলাশ উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা আবু নাদির এস সিদ্দিকী জানান, পলাশে চলতি মৌসুমে ২৮০ হেক্টর জমিতে কলার আবাদ হয়েছে। ১১৭৬০ মেট্রিকটন কলা হয়েছে এইবার পলাশ উপজেলায়। জমিতে অমৃত সাগর কলা, সাগর কলা, সরবি কলা, চাপা কলসহ নানা জাতের কলা চাষ করা হয়ে থাকে। তবে অমৃত সাগর কলার চাষ এর জন্য পলাশে রয়েছে বেশি খ্যাতি। মান ও স্বাদ বেশ ভালো হয়।

কলা চাষি মো : নাসির উদ্দিন বলেন, চলতি বছর আমি ৭ একর জমিতে কলা চাষ করেছি। এ বছর দামটাও ভালো পাচ্ছি। প্রতি কাঁদি কলা তিনশো থেকে পাঁচশো টাকা বিক্রি করেছি। কলা চাষ করে ভালো লাভবান হয়েছি।

ব্যাপারীরা জানান, প্রতি কাঁদি কলা দেড়শো থেকে পাঁচশো টাকায় বিক্রি হয়। তবে কাঁদি, স্বাদ ও মান ভেদে দাম ওঠানামা করে। ছোট আকারের কলা প্রতি কাঁদি দেড়শো টাকা, মাঝারি আকারের কাঁদি তিনশ টাকা, বড় আকারের কাঁদি সাড়ে চারশো থেকে পাঁচশো টাকায় বিক্রি হয় । ফর্মালিন মুক্ত এবং একদম দেশি কলা বেশি বিক্রি হয়।

চরসিন্দুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন রতন বলেন, চরসিন্দুর কলার বাজার আমি ছোট থেকেই দেখছি। চরসিন্দুর ইউনিয়নে এ কলার বাজার আমাদের ঐতিহ্য। কলা মান ও স্বাদ ভালো হওয়ায়, বিভিন্ন উপজেলা থেকে লোক এসে এ বাজারে কলা ক্রয় বিক্রয় করে থাকে।

চরসিন্দুর কলার বাজারের ইজারাদা মোশাররফ হোসেন বলেন, এ অঞ্চলের কলার সুনাম থাকায় দূর-দূরান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা এসে কলা কিনে থাকেন। মূলত কলাচাষি ও ছোট ব্যবসায়ীরা এ হাটে কলা আমদানি করে থাকেন।

তিনি আরও জানান, সপ্তাহে প্রতি শুক্রবার ও মঙ্গলবার এ হাট বসে। আশেপাশের সকল জেলার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় দিন দিন এ হাট জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। প্রতি হাটে এ বাজারে প্রায় ৩০ লাখ টাকার কলা বেচাকেনা হয়।

আরো খবর..
© নরসিংদীর কন্ঠস্বর
Developed By Bongshai IT