এম আজিজুল ইসলাম, নিজস্ব প্রতিবেদক : নরসিংদীর রায়পুরায় ৯ বছরের শিশু আবু তালহাকে অপহরণের পর বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে পাভেল ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। অপহরণকারীরা একই দিনে তালহা ছাড়াও আরোও ২ শিশুকে অপহরণ করেছে। এরপর তারা ১২ হাজার টাকায় শিশু তালহাকে তাদেরই অন্য চক্রের সদস্যের হাতে তুলে দেয়।
শিশু তালহা উপজেলা উত্তরবাখরনগর ইউনিয়নের টেকপাড়া এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে। সে স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেনীর ছাত্র৷
শনিবার (৪ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় নরসিংদীর মাধবদী থানার কান্দাইল এলাকার রশিদ চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে শিশু তালহাকে উদ্ধার করে স্বজনরা। এর আগে অপহরণকারীরা তাকে শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে রায়পুরা উপজেলার উত্তরবাখরনগর ইউনিয়নের টেকপাড়া এলাকা থেকে একটি মাইক্রোতে তুলে নিয়ে যায়৷
ঘটনার লোমহর্ষক বর্ণনা দেয় শিশু তালহা। সে জানায়, শুক্রবার বিকেলে বাড়ির পাশে একটি দোকানে গেলে একই এলাকার ধন মিয়ার ছেলে পাভেল প্রলোভন দেখিয়ে একটি রুটি কিনে দেয়। পরে বাড়িতে আসার পথে চোখ মুখ বেঁধে একটি সাদা রঙের গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাকে ১২ হাজার টাকায় অন্যদের নিকট বিক্রি করে দেয়। পরে তালহার সাথে থাকা ২ জন শিশু সহ সেখান থেকে তারা পালিয়ে যায়।
তালহার বাবা দুলাল মিয়া সাংবাদিকদের জানায়, শুক্রবার বিকাল থেকে তালহা নিখোঁজ হয়। পরে সম্ভাব্য অনেক জায়গায় তাকে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে মাইকের মাধ্যমে এলাকায় ঘোষনা করা হয়। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার একটি ছবি দেখি মাধবদীর কান্দাইল এলাকায় রশিদ চেয়ারম্যানের বাড়িতে আহত অবস্থায় পড়ে আছে। এরপর বাড়ি থেকে লোকজন নিয়ে সেখানে গিয়ে সকাল ১০ টায় তাকে নিয়ে আসি৷ ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তি কামনা করেছেন তিনি৷
রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তালহার বাবা। এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দেওয়ার কথাও জানান তিনি।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুর রহমান মুঠোফোনে সাংবাদিকদের জানান, অভিযুক্ত ও ভুক্তভোগীদের মাঝে ঝামেলার কথা শুনেছি। ঘটনার পর পর ছায়া তদন্তে নেমেছে পুলিশ।