1. admin@narsingdirkanthosor.com : admin :
বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:০৬ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
মাধবদীতে আল ইনাসাফ সমাজ কল্যাণ সংস্থার ফ্রি ব্লাড গ্রুপ নির্ণয় নরসিংদীতে গুমের শিকার ছাত্রদল নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবিতে মানববন্ধন নরসিংদীতে অর্থনৈতিক শুমারির উদ্বোধন বেলাবতে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতিসহ তিনজন গ্রেপ্তার রায়পুরায় ট্রেনের ধাক্কায় অজ্ঞাত যুবক নিহত মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক পলাশের আবদুল হাসিমের ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ শিবপুরে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস উদযাপন পলাশে মঈন খানের নির্দেশে দেয়ালে গ্রাফিতির উপর লাগানো পোস্টার অপসারণ নরসিংদীতে মরহুম কামাল মোল্লা স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টে টিপু স্মৃতি সংঘ চ্যাম্পিয়ন নরসিংদীর বেলাবতে পুত্রবধূকে ধর্ষণ, শশুর গ্রেপ্তার

পলাশে নবজাতককে উদ্ধার, মা’র কাছে ফিরিয়ে দিল পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক | নরসিংদীর কন্ঠস্বর :
  • প্রকাশিতঃ রবিবার, ২৪ জুলাই, ২০২২
  • ২৫৯ বার

নিজস্ব প্রতিবেদক : পিতা মাতার মধ্যেকার পারিবারিক কলহের জেরে নানা প্রকার অপরাধ সংঘটন এবং এই সংক্রান্তে সন্তানদের দুর্ভোগের কবলে পড়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। রোজই কানে আসে। কিন্তু কিছু কিছু ঘটনায় সন্তানদের দুর্ভোগের চিত্র যেন একটু আলাদা; সেটা অনেক নিষ্ঠুরতার গল্পকেও হার মানিয়ে দেয়। এরকম একটি ঘটনা ঘটেছে গত ২২ শে জুলাই নরসিংদীর পলাশ থানার ভাগ্যেরপাড়া নামক স্থানে।

ঘটনার শিকার হওয়া শিশুটির বয়স তখন মাত্র দুইদিন। সে তখন নরসিংদীর গ্রীন লাইফ প্রাইভেট হাসপাতালে তার মা রিমা আক্তারের সাথে ডাক্তারের পর্যবেক্ষণে রয়েছে। জন্মের আগ থেকেই তার বাবা আলামিন এবং তার পরিবারের সাথে মা রিমা আক্তারের নানা বিষয়ে মতবিরোধ এবং মনোমালিন্য হয়ে আসছে। এরপর সন্তান প্রসবের জন্য যখন শিশুটির মা রিমা আক্তারকে গত ২০ শে জুলাই হাসপাতালে ভর্তি হয় তখন জন্ম নেয় সে।

জন্মের পর পিতা-মাতা দু’জনা মিলে যখন একসাথে সদ্য প্রসূত সন্তানের দেখভালে ব্যস্ত থাকার কথা তখন হাসপাতালের বিল দেওয়াকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে আবারো মনোমালিন্য হয়। মনোমালিন্যের এক পর্যায়ে শিশুটির ফুফু শারমিন বেগম এবং পিতা আলামিন মা রিমা আক্তারকে অপদস্ত এবং শায়েস্তা করার পরিকল্পনা করে।

এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে টিকা দেওয়ার কথা বলে তারা শিশুটিকে মায়ের কোল থেকে নিয়ে তাদের নিজ বাড়িতে চলে যায় এবং পরবর্তীতে তার মায়ের কাছে হস্তান্তর করতে অস্বীকার করে। এমনকি হাসপাতাল থেকে ছলচাতুরী করে নিয়ে আসার পর দুইদিন বয়সী নবজাতক শিশুটির সাথে তার মাকে দেখা করতেও দেয়নি তারা।

দুই দিন বয়সী শিশুর সাথে এমন আচরণ করা হতে পারে এমনটি সম্ভবত মা রিমা আক্তার ভাবেননি। তাই হতবিহ্বল হয়ে ঘটনার পর নিজের শিশু সন্তানকে ফিরে পাওয়ার জন্য কেবলই কেঁদেছেন। এরপর কোলের সন্তানকে ফিরে পাওয়ার জন্য অসুস্থ শরীর নিয়ে বিভিন্ন স্থানে গিয়েছেন, নানাভাবে চেষ্টা তদবির করেছেন এবং স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তির স্মরণাপন্ন হয়েছেন। কিন্তু কিছুতেই শিশুটির পিতা এবং ফুফুর নিকট থেকে তাকে ফিরিয়ে আনতে পারেননি তিনি।

এভাবে প্রায় ২৪ ঘন্টা পার হয়ে গেলেও যখন কোন সুরাহা মিলছিলো না তখন মা রিমা আক্তার নিরুপায় হয়ে তার পিতা আব্দুল মালেক এবং মাতা হাজেরা বেগমকে সাথে নিয়ে পুলিশের সহোযোগিতার প্রত্যাশায় পলাশ থানায় আসেন। থানায় এসে ডিউটি অফিসারের নিকট মৌখিকভাবে তার অভিযোগ জানানোর পর লিখিত অভিযোগ দায়ের সম্পন্ন করার আগেই থানায় অবস্থানরত সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারিয়া আফরোজের নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শফিফুল ইসলাম এবং এস আই শাহ আলম নবজাতককে উদ্ধার করতে তৎপর হয় এবং দ্রুততম সময়ে শিশুটিকে তার ফুফুর বাসা থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।

পুলিশের উদ্ধারকালে শিশুটির ফুফু শারমিন আক্তার অত্যন্ত বেপরোয়া এবং উদ্ধত হয়ে সবাইকে বাধা প্রদান করে এবং কিছুতেই নবজাতককে তার মায়ের কাছে দিয়ে অস্বীকৃতি জানায়। তবে শিশুটিকে পুলিশ অক্ষত এবং সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হয় এবং উদ্ধারের পর তাকে থানার নিয়ে এসে ডিউটি অফিসারের কক্ষে আপেক্ষমান মায়ের কাছে শিশুটিকে হস্তান্তর করে দেয়। বর্তমানে শিশুটি সুস্থ রয়েছে এবং তার মা ও নানা-নানীর হেফাজতে পলাশ থানার টেঙ্গরপাড়াতে, তার নানীবাড়িতে অবস্থান করছে।

আরো খবর..
© নরসিংদীর কন্ঠস্বর
Developed By Bongshai IT