শেখ মানিক : নরসিংদীর শিবপুরে রাস্তার মাটি কেটে, রাস্তার মাঝখানে বাঁশের বেড়া দিয়ে রেখেছে এলাকার প্রভাবশালী পরিবার। এতে এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার আইয়ূবপুর ইউনিয়নের ঘাশিরদিয়া গ্রামে।
রাস্তা দখল করে মাটি কেটে রাস্তায় বাঁশের বেড়া দেওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে ওই গ্রামের ১০-১৫টি পরিবার । বাঁশের বেড়া রাস্তা থেকে দ্রুত সরিয়ে না নিলে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরণের সংঘর্ষ।
এ বিষয়ে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মডেল থানায় অভিযোগ দিয়েছেন ইউপি সদস্য তানিয়া সুলতানা। ১ লা আগস্ট শিবপুর মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এলাকাবাসী জানায়, ঘাশিরদিয়া পূর্বপাড়া গ্রামের ১০-১৫টি পরিবার বাড়ী হইতে বের হয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যাওয়ার কোনো রাস্তা নেই।। প্রতিবেশিদের বাড়ীর ভিতর দিয়ে এবং জমির আইল দিয়ে অতিকষ্টে আমাদের ছেলে মেয়েরা স্কুল মাদ্রাসায় যায়। আর কোনো মৃতদেহ কবরস্থানে নিয়ে যাওয়ার রাস্তা নেই।
এলাকাবাসীর আবেদনে ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন তহবিলের বরাদ্ধ ও ইউপি সদস্য তানিয়ার নিজস্ব অর্থায়নে মহাসড়কের সাথে সংযোগ করার জন্য প্রায় ৪০০ফিট রাস্তায় মাটি ভরাট ও ইটের সলিং করার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পরে সকলের সঙ্গে আলোচনা করে মাটি ভরাট করা হয়।
কিন্তু মাটি ভরাট করার পর গত ৩০ জুলাই ওই এলাকার আবদুল হামীদ মৌলভীর ছেলে আয়ূবপুর ইউনিয়নের কাজী খলিলুর রহমান লোকজন নিয়ে নির্মিত রাস্তার মাটি কেটে বাঁশের বেড়া দিয়ে রাস্তা দখল করে রাখেন। এ সময় স্থানীয়রা রাস্তায় বেঁড়া দিতে বাঁধা নিষেধ করলে তাদেরকে মেরে ফেলার হুমকি দেন। আমরা তাদের হামলার ভয়ে আতংকিত।
এ বিষয়ে থানার এসআই রাসেল কবির জানান, ইউপি সদস্য তানিয়ার লিখিত অভিযোগে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছি। উভয়পক্ষকে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য বলা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে যাতে সমস্যার সমাধান করা হয় আর না হলে কোর্টে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে খলিলুর রহমানের ছোট ভাই হাবিবুর জানান আমাদের জমির উপর দিয়ে রাস্তা দেওয়া হবে না। যারা রাস্তার জন্য মাটি ভরাট করছে আমাদের সাথে আলোচনা না করে রাতের আঁধারে এই কাজটি করেছে। আমার অনেক বড় বড় সাংবাদিকের সাথে পরিচয় আছে আপনাদের সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে চাই না। আপনাদের যা লেখার লিখেন গিয়ে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য তানিয়া সুলতানা বলেন, আমরা জমির মালিকের সাথে কথা বলে পরিষদের টাকায় রাস্তায় মাটি ভরাট করছিলাম। কিন্তু পরে আবার কি কারনে রাস্তায় বাঁশের বেড়া দিয়েছেন আমার জানা নেই।
ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বলেন, জমির মালিকের সাথে আলোচনা করে রাস্তায় মাটি ভরাট করা হয়েছে পরিষদের টাকায়। পরে আবার জানতে চাইলাম ওই রাস্তায় বাঁশের বেড়া দিয়েছে।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিনিয়া জিন্নাত জানান, বিষয়টির ব্যপারে অবগত আছি।