1. admin@narsingdirkanthosor.com : admin :
বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৫ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
মাধবদীতে আল ইনাসাফ সমাজ কল্যাণ সংস্থার ফ্রি ব্লাড গ্রুপ নির্ণয় নরসিংদীতে গুমের শিকার ছাত্রদল নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবিতে মানববন্ধন নরসিংদীতে অর্থনৈতিক শুমারির উদ্বোধন বেলাবতে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতিসহ তিনজন গ্রেপ্তার রায়পুরায় ট্রেনের ধাক্কায় অজ্ঞাত যুবক নিহত মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক পলাশের আবদুল হাসিমের ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ শিবপুরে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস উদযাপন পলাশে মঈন খানের নির্দেশে দেয়ালে গ্রাফিতির উপর লাগানো পোস্টার অপসারণ নরসিংদীতে মরহুম কামাল মোল্লা স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টে টিপু স্মৃতি সংঘ চ্যাম্পিয়ন নরসিংদীর বেলাবতে পুত্রবধূকে ধর্ষণ, শশুর গ্রেপ্তার

পলাশে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক | নরসিংদীর কন্ঠস্বর
  • প্রকাশিতঃ সোমবার, ৩ জুলাই, ২০২৩
  • ৪১৯ বার

নিজস্ব প্রতিবেদক : নরসিংদীর পলাশে ঘরের ভিতরে ঢুকে কলেজ পড়ুয়া স্ত্রীকে বিবস্ত্র অবস্থায় ছুরিকাঘাত করে হত্যা ঘটনার ৬ দিন পর গলায় ফাঁস দিয়ে স্বামীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। (২৯ জুন) বৃহস্পতিবার সিলেট শহরের দক্ষিণ সুরমা থানা এলাকায় গলা ফাঁস দিয়ে সঞ্জয় চন্দ্র ভৌমিক (৩৫) নামে ওই যুবক আত্মহত্যা করেন।

আজ সোমবার (৩ জুলাই) দুপুরে তথ্যটি নিশ্চিত করেন পলাশ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামছুল হক।

এর আগে, গত (২৩ জুন) শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের বড়িবাড়ি প্রামে কলেজ পড়ুয়া স্ত্রীকে বিবস্ত্র অবস্থায় ছুরিকাঘাত করে হত্যা করার অভিযোগ উঠে সঞ্জয় চন্দ্রের বিরুদ্ধে। পরদিন শনিবার (২৪ জুন) সকালে বুকে বিদ্ধ হয়ে থাকা ছুরিসহ ওই কলেজছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে পলাশ থানা পুলিশ।

হত্যাকাণ্ডের শিকার ওই কলেজ ছাত্রীর নাম বিনা মিত্র (১৮)। তিনি উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের বরাব (বড়িবাড়ি) গ্রামের মুকুল মিত্রের মেয়ে ও ঘোড়াশাল মুসাবিন হাকিম ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।

এ ঘটনায় (২৫ জুন) রোববার নিহত বিনা মিত্রের বাবা মুকুল মিত্র বাদী হয়ে সঞ্জয় চন্দ্র ভৌমিকের নাম উল্লেখ করে পলাশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।

ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত স্বামী সঞ্জয় চন্দ্র পলাতক ছিল। নিহতের পরিবারের সদস্যরা বলছিল, ঘোড়াশাল পৌর এলাকার লাগালিয়া গ্রামের জগদীস মিত্রের ছেলে সঞ্জয় মিত্রের সঙ্গে বিনা মিত্রের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। দুই বছর আগে মা-বাবাকে না জানিয়ে সঞ্জয়কে বিয়ে করেন বিনা মিত্র। বিয়ের দেড় বছর শ্বশুরবাড়িতে থাকলেও পারিবারিক কলহের কারণে গত ছয় মাস যাবত বিনা তাঁর মা বাবার সঙ্গেই ছিলেন।

তবে মাঝেমধ্যেই সঞ্জয় তাদের এই বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। বিনা মিত্রের মা উর্মিলা মিত্রের ভাষ্য, ঘটনার দিন শুক্রবার সন্ধ্যার পর বাড়িসংলগ্ন বরাব মন্দিরে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে রথযাত্রার প্রসাদ খেতে গিয়েছিল বিনা মিত্র। পরে বাড়িতে ফিরে নিজের ঘরে পড়াশোনা করতে বসে সে।

অন্যদিকে তাঁর মা উর্মিলা মিত্র কবিরাজি চিকিৎসা নিতে পাশের একটি বাড়িতে যান। রাত ৯টার পরে উর্মিলা মিত্র বাড়িতে ফিরে দেখেন ঘরে স্বামী আর ছেলে ঘুমাচ্ছেন। এ সময় অপর ঘরে গিয়ে দেখেন বুকে ছুরি বিদ্ধ অবস্থায় বিনার বিবস্ত্র লাশ ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে। চোখের সামনে এই দৃশ্য দেখে উর্মিলা মিত্র ক্রমাগত ডাক-চিৎকার করতে শুরু করেন। প্রতিবেশী ও স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে থানা-পুলিশে খবর দেন।

এ বিষয়ে পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, বিনা মিত্রকে হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই তার স্বামী সঞ্জয় চন্দ্র ভৌমিক পলাতক ছিল। স্ত্রী হত্যাকাণ্ডের অপরাধবোধ থেকেই হয়তো সে আত্মহত্যা করেছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি।

আরো খবর..
© নরসিংদীর কন্ঠস্বর
Developed By Bongshai IT