নরসিংদী প্রতিনিধি : নরসিংদীতে স্বামীর বাড়ি থেকে সানজিদা বেগম (২৫) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার রাতে সদর উপজেলার শিলমান্দী ইউনিয়নের উত্তর বাঘহাটা এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত সানজিদা সদর উপজেলার শিলমান্দী ইউনিয়নের উত্তর বাঘহাটা এলাকার মালয়েশিয়া প্রবাসী মাহবুব আলমের স্ত্রী। সে পাঁচদোনা ইউনিয়নের ভাটপাড়া এলাকার আলতাফ হোসেনের মেয়ে।
নিহতের স্বজনরা জানায়, ৯ বছর আগে সানজিদার সাথে পারিবারিক ভাবে শিলমান্দী ইউনিয়নের উত্তর বাঘহাটা এলাকার মজিবুর রহমানের ছেলে মাহবুব আলমের বিয়ে হয়। বিয়ের পরই মাহবুব কাজের উদ্দেশ্যে মালয়েশিয়া চলে যায়। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন সময় মাহবুবের বাড়ির লোকরা সানজিদাকে বাপের বাড়ি থেকে টাকা এনে দেয়ার জন্য চাপ দিতো। সানজিদার বাবা সড়ক দূর্ঘটনায় পঙ্গু হয়ে যাওয়ায় তার পক্ষে টাকা এনে দেয়া সম্ভব হয়নি। যার কারণে প্রতিনিয়ত তাকে শশুর বাড়ির নির্যাতন সহ্য করতে হতো। পাশাপাশি মাহবুব ও সানজিদাকে সংসার চালানোর জন্য কেন টাকা দিতো না। যার কারণে সে বেশির ভাগ সময় বাপের বাড়িতেই থাকতো।
তিনমাস আগে মাহবুব মালয়েশিয়া থেকে দেশে এসে সানজিদাকে বাপের বাড়ি থেকে নিয়ে আসে। সে একমাস দেশে থেকে আবার মালয়েশিয়া চলে যায়। রবিবার সন্ধ্যায় মাহবুবের ভাই মাইনুল সানজিদার বাবাকে ফোন দিয়ে বলে ভাবী গলায় ফাঁস দিয়েছে, আপনারা দ্রুত আসেন। পরে তারা সানজিদার শ
শুর বাড়িতে গিয়ে দেখে তাকে বারান্দায় শোয়ায়ে রাখা হয়েছে। আর বাড়িতে কেউই নেয়। পরে তারা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
নিহত সানজিদার বাবা আলতাফ হোসেন বলেন, আমার মেয়েকে তারা টাকা এনে দেয়ার জন্য নির্যাতন করতো। এনিয়ে এলাকায় একাধিকবার দরবার সলিস হয়েছে। তারপরও তাদের অত্যাচার থামেনি। আমার মেয়ে দুই মাসের অন্তস্বত্বা ছিলো। তারা মেয়ের বাচ্চাটিকে নষ্ট করে ফেলে। আর আজকে আমার মেয়েকে মেরে তারা সবাই বাড়ি ছেড়ে পালালো। আমি মেয়ে হত্যার বিচার চাই।
নরসিংদী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূইয়া বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আমরা এঘটনায় কাজ করতেছি। আর আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।