নিজস্ব প্রতিবেদক : নরসিংদী সদরের মেহেরপাড়া ইউনিয়নে পপি বেগম (২৫) নামে এক গৃহবধূর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। পরিবারের লোকজন পপির ঝুলন্ত লাশ দেখে পুলিশকে সংবাদ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঝুলন্ত লাশ নামিয়ে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানাযায়, বিগত পাঁচ বছর আগে একই ইউনিয়নের কুড়েরপাড় গ্রামের মারফত আলীর ছেলে লিটন (৩০) এর সহিত পাঁচবাগ শ্রীনগর গ্রামের বুলু মিয়ার মেয়ে পপির বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। বেশ কিছুদিন আগে পপির কানের ভিতর সমস্যা হয়। তখন প্রায় লক্ষাধিক টাকা খরচ করে তাকে চিকিৎসা করা হয়।
এতে করে তার এক কান কিছুটা ভালো হলেও অপর কানে সমস্যা থেকে যায়। তার এ কানের সমস্যা থেকে মাথায় সমস্যা দেখা দেয়। তার পরিবার ও আশপাশের লোকজনকে বলতো তার মাথার ভেতর কেমন যেন করে, অসহ্য যন্ত্রণা হয়। গত দুই দিন আগে পপি বেগম তার স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি বেড়াতে আসে। বেড়াতে এসে তার ভাবির সাথেও তার সমস্যার কথা বলে।
পরে আজ শনিবার সকালেও পপির ছোট ভাই তাকে দেখেছে বাড়িতে হাটাহাটি করছে। কিছুক্ষণ পর সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৭টার ভিতরে পপি তার পিতার বসত ঘরের ধরনার সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে।
এ বিষয়ে পাঁচদোনা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ইউসুফ আহমেদ জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।