সাব্বির হোসেন | নিজস্ব প্রতিবেদক : নরসিংদীর পলাশ উপজেলার সবজির বাজারসহ মাছ-মাংস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম লাগামহীন ঊর্ধ্বমুখী। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে হাঁসফাঁস বেড়েছে। কাঁচাবাজার যেন সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে আর আসছেই না। গত কয়েকদিনের তুলনায় বেশ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার উপজেলার বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, মাছ-মাংস-সবজিসহ সব নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়তি থাকায় কেনাকাটায় হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা, পড়েছেন বিপাকে।
আবুবকর নামে চাকরিজীবী বলেন, বাজারের প্রায় প্রত্যেকটা জিনিসের দাম বেশি। সাধারণ মানুষের চলা কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পেঁপে ৮০ টাকা কেজি ধরে কিনলাম।
নরসিংদীর পলাশের বাজারে বেড়েছে চাল, মুরগি, ডিম, কাঁচামরিচ ও বিভিন্ন সবজির দাম। কয়েকদিনের ব্যবধানে খুচরা বাজারে সরু ও মোটা চাল কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা বেড়েছে। ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ২৫ টাকা। প্রতি হালি ডিমে বেড়েছে ২ টাকা। কাঁচামরিচ প্রতি কেজিতে ৪০ টাকা মাছের বাজারও চড়া।
পলাশ উপজেলার বেশ কয়েকটি বাজারে এমন মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। ঘোড়াশাল সাদ্দাম বাজারের ব্যবসায়ী ফারুক মিয়া জানান, বেগুন প্রতি কেজি ৫০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা, কাঁচামরিচ ১৪০ টাকা, শশা ৫০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, ধনে পাতা ৩২০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৪০ টাকা, চিচিঙা ৬০ টাকা, ঝিঙে ৮০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, কাকরোল ৮০ টাকা, পেঁপে ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ১২০ টাকা পিস মাঝারি, ও চাল কুমড়া ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে আলু প্রতি কেজি ৩৫ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৬০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৫০ টাকা, দেশি আদা ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, চীনা আদা ২৪০ টাকা, দেশি রসুন ১৬০ টাকা, চীনা রসুন ১৯০ টাকা, প্যাকেট আটা ৬৫ টাকা, প্যাকেট ময়দা ৭৫ টাকা, খোলা চিনি ১৩৫ টাকা, প্যাকেট চিনি ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মোটা দানার মসুর ডাল ১০৫ টাকা ও ছোট দানার মসুর ডাল ১৪০ টাকা কেজি নেওয়া হচ্ছে।
বাজারে চালের দামও বেড়েছে। খুচরা বাজারে সরু মিনিকেট চাল ২ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৮-৮৫ টাকা। একইভাবে ২-৩ টাকা বেড়ে ভালো মানের বিআর-২৮ চাল কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৮-৬০ টাকা।
মুরগি ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান বিজয় জানান, ফারমের মুরগির দামও বেড়েছে। সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ৩০০ টাকা, ব্রয়লার ৩০ টাকা বেড়ে ২১০ টাকা ও কক বা লেয়ার ৩০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের ডিমের হালিতে ২ টাকা বেড়েছে। প্রতি হালি ডিম এখন ৪৮ টাকা। গরুর মাংসের দাম অপরিবর্তীত রয়েছে। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা। আর খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকায়।
বাজারে মাছের দামও চড়া। মাঝারি ইলিশ ১০০০ থেকে ১২০০, বড় রুই ও কাতল ৪৬০-৫১০ টাকা, বড় তেলা পিয়া মাছ ২২০ টাকা, চাষের শিং মাছ প্রতি কেজি ৭৫০ -৯৫০ টাকা, কৈ ৩০০ -৪৭০, পাঙাশ ২০০-২২০ টাকা, দেশি শিং ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা, দেশি চিংড়ি (ছোট) ১০০০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা মুদি দোকানি আনোয়ার হোসেন দাউদ বলেন, মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে বেশ কয়েকটি পণ্যের দাম বেড়েছে। আপাতত পণ্যের দাম কমে আসবে বলে মনে হয় না।