সাব্বির হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক : চল্লিশ ফুট গভীরতার অরক্ষিত সেফটিক ট্যাংকিতে পড়ে আটকে যায় একটি ষাঁড় গরু। গরুর মালিক ও প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে মুঠোফোনে কল করে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতা চায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আধা ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে অক্ষত ও জীবিত অবস্থায় ষাঁড় গরুটি সেপটিক ট্যাংক থেকে তোলে নিয়ে আসে। এতে গরুর মালিক ও প্রতিবেশীসহ সবার মুখে হাসি ফুটে।
ঘটনাটি আজ মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার কুমারটেক গ্রামে গরুর মালিক সুমন মিয়ার প্রতিবেশীর অরক্ষিত সেপটিক ট্যাংকিতে ঘটে।
পলাশ ফায়ার সার্ভিস জানায়, কুমারটেক এলাকায় দুই বাড়িতে চলাচলকারী রাস্তার মাঝে পাতলা টিন দিয়ে একটি সেপটিক ট্যাংক অরক্ষিত অবস্থায় রাখা ছিলো।বেলা এগারটায় প্রায় ১৭০ কেজি ওজনের একটি ষাঁড় গরু যাওয়ার সময় ওই ট্যাংকির উপরে পা দিলে পাতলা টিন ভেঙে ভেতরে পড়ে যায়। এ অবস্থায় গরুর মালিক সুমনসহ প্রতিবেশীরা চেষ্ঠা করেও গরুটিকে উদ্ধার করতে পারেনি।
পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হলে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। ষাঁড় গরুটিকে একটি রশির মাধ্যমে বেধেঁ আর পাইপের মাধ্যমে ট্যাংকিতে পানি দিয়ে ধীরে ধীরে তাকে অক্ষত ও জীবিত অবস্থায় উপরে উঠিয়ে আনে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
প্রতিবেশী আল-আমিন বলেন, সুমন মিয়া চাকরির পাশাপাশি ষাঁড় গরু পালন করে। আজ তার গরুটি সেপটিং ট্যাংকিতে পড়ে গেলে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা এসে উদ্ধার করে।
পলাশ ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার মো. হাদিউল ইসলাম বলেন, সুমন মিয়ার প্রতিবেশীর একটি সেপটিক ট্যাংক অরক্ষিত অবস্থায় ছিলো। আজ একটি ষাঁড় গরুটি পড়ে আটকে ছিলো, এখানে অন্য কেউও পড়ে যেতে পারতো। আমরা দ্রুত এটার ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মালিককে বলেছি। আর আজকের উদ্ধার কাজটি মানবিক কাজ। আমরা যেখানেই দূর্ঘটনার খবর পাই ছুটে গিয়ে উদ্ধার করি। মানুষের পাশাপাশি কোন পশু-পাখিও বিপদে পড়লে তাদেরও সহযোগীতা করার চেষ্ঠা করি।