নিজস্ব প্রতিবেদক : নরসিংদীর রায়পুরার চরাঞ্চলে ককটেল মারতে বাধা দেয়ায় বাড়ীতে ঢুকে এক পোল্ট্রি মুরগী ব্যাবসায়ীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের মামলা হলেও এখন পযর্ন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে নিহতের মা হালিমা বেগম বাদি হয়ে রায়পুরা থানার হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এর আগে ঈদের দিন শনিবার সন্ধ্যায় রায়পুরার নিলক্ষ্যার বীরগাঁও গ্রামে নিজ বাড়িতে ঢুকে জুলহাস মিয়া (২৮) নামে এক পোল্টি ব্যাবসায়ীকে হত্যা করা হয়।
ওই সময় তাকে বাচাঁতে এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় সাদ্দাম, ইয়ামিন, হাবিব ও আমিনুল। তাদের মধ্যে দুই জনকে ঢাকায় ও দুই জনকে নরসিংদীর একটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
এদিকে হত্যাকান্ডের দুইদিন পর নিহত জুলহাসের বাড়িতে খোজ খবর নিতে গেছেন নরসিংদী জেলা প্রশাসক আবু নইম মোহাম্মদ নইম খান, নরসিংদী পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজিম (পিপিএম), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) অর্নিবাণ চৌধুরী, (রায়পুরা সার্কেল) সত্যজিৎ কুমার ঘোষ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আজগর হোসেন,,পুলিশ সুপার সহ প্রশাসনের উর্ধতর্ন কর্মাকর্তারা। অন্যদিকে তারা নরসিংদী জেলা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
পুলিশ ও নিহত স্বজনরা জানিয়েছে, পবিত্র ইদুল ফিতরের দিন শনিবার সন্ধ্যায় রায়পুরার নিলক্ষ্যার হরিপুর গ্রামের জজমিয়ার ছেলে জিয়া, আরিফ, সোলমান, মামুন সহ বেশ কয়ে়কজন যুবক বীরগাও গ্রামের সামসু মিয়ার ছেলে জুলহাসের মুরগির ফার্ম এর সামনে ককটেল ফাটাতে থাকে।
ওই সময় নিহত জুলহাস তাদেরকে ককটেল ফুটাতে বারণ করেন। এতে তারা জুলহাসের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে চলে যায়। এর কিছুক্ষণ পরে তারা দলবল নিয়ে অস্ত্র সস্বেত্র সজ্জিত হয়ে জুলহাসের বাড়িতে ঢুকে জুলহাসকে গুলি করেন। এ সময় তার স্বজনরা বাধাদিতে আসলে তাদেরকেও গুলি করেন।
পরে তাদের উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জুলহাসকে মৃত ঘোষণা করেন। গুলিবিদ্ধ ৪ জনকে চিকিৎসা ঢাকায় ও নরসিংদীর একটি হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
নিহতের ভাই মানিক মিয়া বলেন, হরিপুর গ্রামের জজমিয়ার ছেলে জিয়া, আরিফ,সোলমান,মামুন সহ বেশ কয়ে়কজন যুবক ককটেল ফুটাচ্ছে। তাদের বাধা দেয়ায় তারা নির্মম ভাবে প্রকাশ্যে জুলহাসকে গুলি করে হত্য করে। তারা প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে এসে বাড়িতে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালায়। এত বড় ঘটনার পরও তারা এখনো গ্রেপ্তার হয়নি।
নিহতের মামা আজান মিয়া বলেন, আমরা কখনো ঝগড়া পছন্দ করি না। আমাদের লোকজনকে যারা গুলি করে হত্যা ও আহত করেছে তাদেরকের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি। এসময় নিহতের স্বজনদের কাছে মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন নিহতের দাফন শেষ করেছি, এখন মামলা প্রস্তুতি চলছে।
রায়পুরা থানার ডিউটি অফিসার এস আই আরিফ রাব্বানি বলেন, নিহতের মা হালিমা বেগম বাদি হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞতনামা আরো ২০/৩০ জনকে আসামী করে রায়পুরা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলার আসামী ও এ ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি তদন্তের স্বার্থে কিছু জানায়নি।