সাব্বির হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক : রৌদ্রতপ্ত আবহাওয়া উপেক্ষা করে ১৫ তম রমজানে নরসিংদীর ঘোড়াশালের ফুটপাতে বইছে উৎসবের আমেজ। বেচা-কেনা জমে উঠেছে ভ্রাম্যমাণ দোকান গুলোতে। ঈদের আরও দুই সপ্তাহ বাকী থাকলেও ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। এখানে পুরুষ ক্রেতাদের চেয়েও নারী ক্রেতাদের উপস্থিতি ছিলো দেখার মতো।
আজ শুক্রবার (৭ এপ্রিল) জুম্মার নামাজের পর থেকে বড় শপিংমল থেকে শুরু করে ফুটপাতের কোথাও যেন স্বাভাবিকভাবে পা ফেলার জায়গা নেই। সব খানে মানুষ আর মানুষ। শেষ বিকেলে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় ফুটপাতের দোকানগুলোতে।
বাহারি পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসেছে দোকানিরা। সব বয়সের নারী পুরুষের তৈরি কাপর থেকে শুরু করে ব্যাগ, জুতা ও অন্যান্য পণ্যে ভরে গেছে দোকানগুলো।
বছরের অন্যান্য সময়ে এখানে বেচা-কেনা কিছুটা কম থাকলেও ঈদ উপলক্ষে বিক্রি বেড়ে যায় কয়েকগুন।
সরেজমিনে ঘোড়াশালের ফুটপাতের বউ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতা আসছে, থরে থরে সাজানো বাহারি সব ড্রেস দেখছে, কিনছে। জমজমাট ভাবে চলছে ঈদের বেচা-কেনা।
এখানে কাপরের দাম কম কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে এক ব্যবসায়ী মো: সবিকুল ইসলাম জানান, আমাদের ফুটপাতে ব্যবসা করতে হলে দোকান ভাড়া দিতে হয়না। স্পট খরচও অনেক কম। তাই আমরা কম দামে কাপর বিক্রি করছি।
ক্রেতা সাবিনা ইয়াসমিন জানান, এখানে সব বয়সের নারী পুরুষের ভাল মানের কাপরসহ অন্যান্য পণ্য সামগ্রী পাওয়া যায়। দাম ও হাতের নাগালে। পাশের মার্কেটের ভিতরে রং বেরঙের আলোকসজ্জা থাকায় পোষাক তেমন ভালো করে যাচাই করা যায় না। কিন্তু ফুটপাতে দিনের আলোয় কাপরের সঠিক রং বুঝা যায়। নিজের মনের মতে করে কেনা যায় পছন্দের পোষাক। এখান থেকে কম দামে কাপর পাওয়া যায়, গুনগত মানও ভাল।
ফুটপাতের আরেক ব্যবসায়ী সেলিম মিয়া জানান,
ঈদ উপলক্ষে বেচা-কেনা অনেক ভাল যাচ্ছে। ক্রেতাদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে এবার অনেক নতুন ডিজাইনের পোষাক এনেছি। ক্রেতারা এখান তাদের পছন্দের পণ্য কম দামে কিনতে পেরে খুশি।
ঘোড়াশাল বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম জানান, ঈদ উপলক্ষে অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেচা-কেনা বেড়ে কয়েকগুন বৃদ্ধি পাচ্ছে। দিনের বেলা ক্রেতা বিক্রেতাদের নিরাপত্তার কোন ঘাটতি হচ্ছেনা। রাতের বেলায়ও যেন কোন ধরনের সমস্যা না হয় সে জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।