ডেস্ক রিপোর্ট : অবশেষে শুরু হয়েছে মহিমান্বিত মাস রমজান। এই সময় রোজা পালন করবেন বিশ্বের শত কোটি মুসলিম। এ বছর বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, সৌদি আরব, আমিরাতসহ এশিয়ার দেশগুলোতে প্রতিদিন সাড়ে ১৩ ঘণ্টা থেকে ১৫ ঘন্টা রোজা রাখছেন। সৌর বর্ষপঞ্জির হিসাবের বিবেচনায় চান্দ্র বর্ষপঞ্জিতে প্রতিবছর ১০ থেকে ১২ দিন কম হওয়ায় রোজার সময়সীমায় পরিবর্তন হয়।
মূলত অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ এবং নিরক্ষরেখা থেকে দেশের অবস্থান অনুসারে রোজার সময়সীমায় এ তারতম্য হয়। ২০৩১ সাল পর্যন্ত উত্তর গোলার্ধের সময় কমতে থাকবে। সেই বছর ১৪ ডিসেম্বর শীত মৌসুমে অনুষ্ঠিত হবে। আর ২০৩০ সালে এক বছরে দুই রমজান অনুষ্ঠিত হবে। সেই বছর ৫ জানুয়ারি রমজান শুরু হবে। আবার একই বছর ২৫ ডিসেম্বর আবার রমজান মাস শুরু হবে।
তারমানে ওই বছর ৩৫ বা ৩৬ দিন রোজা রাখতে হবে। ২০৬৩ সালে একই বছরে দুই রমজান হবে। অতীতের ১৯৯৭ সালে এবং হাজার ১৯৬৫ সালেও এমনটি হয়েছে। হিজরি বর্ষ চান্দ্র বর্ষপঞ্জিকা অনুসরণ করে। তাই চন্দ্রের হিসাবে বছরের ৩৫৪ থেকে ৩৫৫ দিন হয়। এদিকে সৌরবর্ষ হয় ৩৬৫ দিনের। এতে উভয়ের মধ্যে ১০ দিনের ব্যবধান হয়। ফলে প্রতি ৩০ বছর পর গ্রেগরিয়ান এক বছরে দুইবার রমজান পড়ে। বছর ঘুরে উত্তর গোলার্ধে রোজার সময় কমতে থাকে।
এই স্থানের রোজার সময় ২০৩২ সাল পর্যন্ত ক্রমাগত কমতে থাকবে। ওই বছর রমজান মাস পুরোপুরি শীতের মধ্যে পড়বে। আর তখনকার সময়টি হবে বছরের সংক্ষিপ্ততম সময়। এর পর পুনরায় রোজার সময় বাড়তে থাকবে এবং গ্রীস্মের সময় এসে পড়বে। ওই সময়টি হবে বছরের দীর্ঘতম সময়। ২০২৮ সালের তীব্র শীতের সময় রমজানের রোজা রাখতে হবে। আবার ২০৪৪ সালে প্রচণ্ড গরমে মৌসুমের রমজান হবে। সূত্র. আলজাজিরা।