নরসিংদী প্রতিনিধি : নরসিংদীর (৩) শিবপুর থেকে নির্বাচিত সরকারদলীয় এমপি জহিরুল হক মোহনের রাজনৈতিক কার্যালয় পুড়িয়ে ফেলার সাজানো মামলায় জামিন লাভ করেছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম মৃধা।
সাত দিন কারাভোগের পর আজ বুধবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মোস্তাক আহমেদে বিবাদী পক্ষের শুনানী অন্তে জামিন মঞ্জুর করেন। এসময় বাদী পক্ষের কোন আইনজীবী বা বাদী সেলিম ভূঞাকেও আদালত চত্তরে দেখা যায়নি।
আদালত সুত্রে জানা যায়, বাদী কোন ওকালত নামায় স্বাক্ষর না করায় তার পক্ষে আদালতে কোন আইনজীবী দাঁড়াননি। গত বুধবার ১৫ মার্চ বিকালে স্থানীয় সংসদ সদস্যের রাজনৈতিক কার্যালয় পুড়ানোর অভিযোগে সাবেক এই উপজেলা চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম মৃধাকে গ্রেপ্তার করে শিবপুর থানা পুলিশ।
তাঁর গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে পুলিশ তাকে নরসিংদী ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে রাখে।
এদিকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানক আটকের পর পরই আহত উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ খানসহ বিভিন্ন রাজনৈতক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও পেশাজীবি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এ ঘটনাকে গভির ষড়যন্ত্র বলে আখ্যায়িত করেন।
গুলি করার ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য পরিকল্পিতভাবে এমপির ভাই জুনো ও উপজেলা আওয়ামিলীগের যুগ্ম সম্পাদক আসাদ গভির ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে বলেও দাবী করেন শিবপুর উপজেলা আওয়ামিলীগ নেতৃবৃন্দ।
উপজেলা আওয়ামিলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মহসিন নাজির মাস্টার বলেন, আরিফুল ইসলাম মৃধা জামিন লাভের খবর শুনে বেশ ভালো লাগছে। ঘর পুড়া মামলায় তাকে কেন আসামী করা হলো তা এখনে বুঝে উঠতে পারছিনা।
জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবীর খোকন বলেন, আরিফুল ইসলামকে যারা এই মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছে শিবপুরের মানুষ কোন দিক তাদেরকে আর বিশ্বাস করবে না।
জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও সাবেক এমপি সিরাজুল ইসলাম মোল্লা বলেন, আরিফুল ইসলাম মৃধাকে যারা এ মামলায় জড়িয়ে অহেতুক জেল খাটিয়েছে তারা খুনাখুনি ও প্রতিহিংসার রাজনীতির সাথে জড়িত। বাকী জীবন শিবপুরবাসী তাদের ঘৃণার চোখে দেখবে।
উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ বলেন, দেওলিয়া হয়ে গেলেও মানুষ নিজের ঘরে নিজে আগুন দেয়না। অথচ এমপি মোহন ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা তাই করলো। এরপর আরিফ মৃধাকে এ মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে প্রমান করলো এ আগুন প্রতিহিংসার। কিন্তু প্রতিহিংসার আগুণে এখন নিজেই পুড়ে ছারখার হয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য গত ১৪ মার্চ রাতে এমপি মোহনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অগ্নি সংযোগের ঘটনায় আরিফুল ইসলাম মৃধা ও হাজ্বী খোরশেদসহ আরো ১০/১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে মামলা দায়ের করেন সেলিম ভূঞা নামে এক ব্যক্তি।