নিজস্ব প্রতিবেদক : নরসিংদীর রায়পুরায় ভৈরব রফিকুল ইসলাম মহিলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সানিয়া আক্তারকে (১৯) আত্মহত্যায় প্রলোচনা দেওয়ার অভিযোগে তাঁর স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ির বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী।
শনিবার (৪ মার্চ) উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মাহমুদাবাদ নামাপাড়া এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে কয়েক শতাধিক লোকজন অংশ নিয়ে জড়িতদের বিচার দাবি জানিয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নিহত কলেজছাত্রী সানিয়ার চাচা আব্দুল বাতেন হাজারী, স্থানীয়দের মধ্যে আলমগীর কবির, দেলোয়ার হোসেন, সোলাইমান কাদের, সোবর হাজারী, আব্দুল হামিদ ও একেএম মিলন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বিয়ের পর থেকেই সানিয়াকে চরম অবহেলা ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিলেন তাঁর স্বামী ও শ^শুরবাড়ির লোকেরা। এ সর্ম্পকও মেনে নেননি তাঁরা। এতে চরম ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন সানিয়া। এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে আত্মহননের পথ বেচে নেন তিনি। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছে তাঁর স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি। এ সময় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচার দাবি জানান তাঁরা।
জানা গেছে, ছয়মাস আগে পরিবারকে না জানিয়ে ভালোবেসে কলেজ ছাত্রী সানিয়া আক্তারকে বিয়ে করেন একই ইউনিয়নের মাহমুদাবাদ এলাকার বাসিন্দা সাজ্জাদ হোসেন সাজিদ। পরে বিয়ের কথা জানাজানি হলে, প্রথমে সাজিদের বাবা সানাউল্লাহ অভি এ সর্ম্পক মেনে নিলেও পরক্ষণে তা অস্বীকার করেন।
এ দিকে স্বামীর অবেহেলা ও শ্বশুরবাড়ি লোকজনের মানসিক নির্যাতনের কারণে ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন ওই কলেজ ছাত্রী। পরে ২৮ ফেব্রুয়ারী ফাঁকা বাসায় আত্মহত্যা করেন সানিয়া। এ ঘটনার পর সাজিদ ও তাঁর মা-বাবাকে আসামি করে রায়পুরা থানায় একটি অভিযোগ করেন নিহত কলেজছাত্রীর মা বিলকিছ বেগম।
রায়পুরা থানার এসআই আবুল কালাম আজাদ জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। জড়িতদের ধরতে চেষ্টা চলছে।