জহিরুল ইসলাম, নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ছলিমাবাদ ইউনিয়নের তাতুয়াকান্দি গ্রামের আলোচিত আওয়ামীলীগ নেতা অলি মেম্বার হত্যার প্রধান আসামী ইকবাল ও তার সহযোগী নৈমুদ্দিন কে ৪৮ ঘন্টায় সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ কে গতকাল বুধবার সকালে আটক করা হয়েছে।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আলমের এর নেতৃত্বে এসআই নুর মোহাম্মদ,এএসআই ইলিয়াস হোসেন, এএসআই পরিচালনায় ডিবির সমন্বয়ে একটি চৌকস টিম যৌথভাবে শ্বাসরোদ্ধ অভিযান চালিয়ে তাদের কে আটক করে। তার বাড়ি থেকে ইকবালের স্ত্রী শিল্পী বেগম,মেয়ে স্বর্ণালী আক্তার ও ফুলমিয়া, ও নৈমুদ্দিন ও ইকবাল সহ পাঁচজনকে আটক করা হয়।
১৯৯০ সালে পার্শ্ববর্তী উপজেলা কুমিল্লা হোমনা থানার দৌলতপুর গ্রামের বাঘা মানিক,২০০০ সালে তাতুয়াকান্দি গ্রামের আঃ মান্নান,২০১৪ সালে ইউনিয়নের পাইকার চর গ্রামের গোলাপ ফুল মিয়া,একেই গ্রামের ২০১৯ সালে সুমন মিয়া, সর্বশেষ গত জানুয়ারি ২০২৩ সালে তাতুয়াকান্দী গ্রামের আওয়ামীলীগ নেতা সাবেক মেম্বার মোঃ অলি মিয়া কে নিঃসঙ্গভাবে হত্যা সহ তার বিরুদ্ধে বাঞ্ছারামপুর থানায় ১০ টি মামাল রয়েছে।
তার বিরুদ্ধে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় ৪টি হত্যা মামলা,৩ চাঁদাবাজি মামলা,১নারী নির্যাতন মামলা,১টি ডাকাতি মামলা ও ১ টি বোমাবিস্ফোরণ মামলা রয়েছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায় ,প্রায় ৩০ বছর ধরে ইকবাল বাহিনী ও অলি গ্রুপের সাথে দ্বন্দ্ব লেগে আছে। এ দ্বন্দ্বের কারণে প্রতিবছর বছর খুন হয়।
মামালার বাদী অলি মেম্বারের মেয়ে আশামনি বলেন, আমার বাবাকে যারা নিঃসঙ্গভাবে টেটার বিরুদ্ধে করে হত্যা করেছে। আমি তাদের ফাঁসি চাই। এখন আমরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি। বিভিন্ন লোক দিয়ে আমাকে হুমকি-ধমকি দেয় আমাকে মেরে ফেলবে।
অলি মেম্বারের স্ত্রী হাসিনা বেগম বলেন, আমি জীবিত থাকতে আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই।
অলি মেম্বারের ছেলে মারুফ আহমেদ সিয়াম বলেন, আমার বাবাকে যারা মেরেছে যারা আমার বাবা ছাড়া করেছে। আল্লাহ যেন তাদের বিচার করে।
বাঞ্ছারামপুরে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আলম সাংবাদিকদের প্রেসভিফিং জানান, অলি মেম্বার হত্যার মামল পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে ১০-১২ জনের নাম অজ্ঞাতনামা একটা মামলা হয়েছে। আমরা প্রধান আসামিসহ পাঁচজনকে আটক করেছি। তাদের বিজ্ঞ আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামী ইকবাল ও নৈমুদ্দিন অলি মেম্বারকে হত্যার কথা স্বেচ্ছায় স্বীকার করে নিজেদের ও অন্যান্যদের জড়িত বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।