1. admin@narsingdirkanthosor.com : admin :
শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ০৬:৩২ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
পলাশে দিনমজুরকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত গ্রেপ্তার ঘোড়াশালে ট্রাকের চাপায় যুবক নিহত, চালক আটক গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার একমাত্র উপায় দ্রুত জাতীয় নির্বাচন: ড. আব্দুল মঈন খান ফারাক্কা বাঁধ বাংলাদেশের জন্য মরণফাঁদ: মঈন খান জুলাইয়ের নামে দোকান খুলে ব্যবসা করলে প্রতিহত করতে হবে : নরসিংদীতে ভিপি নুর বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ৪৭ হাজারের বেশি হজযাত্রী মুক্তি পেলেন সাবেক বিডিআরের ২৭ সদস্য, স্বজনদের চোখে আনন্দ অশ্রু নরসিংদী-১ আসনে জামায়াতের এমপি প্রার্থী ইব্রাহিম ভূঁইয়া নতুন প্রজন্মরাই আগামী দিনে দেশ পরিচালনা করবে: মঈন খান ঘোড়াশালের প্রবেশ মুখে সড়কের বেহাল দশা, দুর্ভোগ চরমে

“পলাশে সরিষার বাম্পার ফলন” স্বপ্ন জয়ের পথে কৃষক

নাসিম আজাদ | নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিতঃ বুধবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ৩৮৫ বার

নাসিম আজাদ, নিজস্ব প্রতিবেদক : নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় সরিষা চাষে কৃষকদের ভাগ্য বদলের স্বপ্ন যেন আজ পুরোন হতে চলেছে। মাঠ জুড়ে হলুদ রং ছাড়িয়ে সবুজের হাসি আবার কোথাও বাদমী রঙের উজ্জ্বল ঝিলিক। এবার যেন স্বপ্ন জয়ের পথে আশায় বুক বাধছে কৃষক। কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় পলাশে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সরষা চাষ।সরিষার দানা গুলোও খুবই পুষ্ট হয়েছে। এবছর রবি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় অধিক ফলন পাওয়ার আশাবাদ কৃষকদের।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, সরিষা চাষে খরচ ও পরিশ্রম দুটোই কম কম হওয়ায় অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক কৃষক এই ফসল চাষে ঝুঁকেছেন।সরিষা তোলার পর একই জমিতে বোরো ধানের আবাদ হচ্ছে।

সরিষা বেলে বা দোআঁশ মাটিতে ভালো হয়।যেহেতু বেলে ধরনের মাটিতে সেচ দেওয়ার পর পানি চুইয়ে নিচে চলে যায় এবং এসময় পানির সাথে বেশকিছু খাদ্যোপাদানও নিচে চলে যায়। এসবের মধ্যে বোরন অন্যতম।

সরিষা চাষে প্রচুর রোদ, কম তাপমাত্রা ও জমিতে পর্যাপ্ত রস থাকা পয়োজন। তাপমাত্রা বেড়ে গেলেও মাটিতে রসের অভাব হলে দানার আকার ছোট হয়, যার কারণে তেলের পরিমাণও কমে যায়। এজন্য বাংলাদেশে রবি মৌসুমেই সরিষার চাষ করা হয়।

পলাশ উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৪টি ইউনিয়নে ৮৫ হেক্টর জমিতে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও আবাদ করা হয়েছে ৯৫ হেক্টর জমিতে। যা গত বছরের তুলনায় ২০ হেক্টর বেশি। উপজেলার গজারিয়া, চরসিন্দুর ও জিনারদী ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি সরিষার চাষ করা হয়।

উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের জয়পুরা গ্রামের আবছার উূ্দীন মৃধা জানান,এক বিঘা সরিষা চাষে খরচ হয় ১হাজার থেকে ১৫শ টাকার টাকার মতো। ফলন পাওয়া যায় ৫থেকে ৭মন।যার প্রতিমন সরিষার বাজার মূল্য ৮শ থেকে ৯শ টাকা।

খাসহাওলা গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন,এবার প্রায় ১০০ শতাংশ বারী-১৪ জাতের সরিষা চাষ করেছি ফলনও খুব ভালো হয়েছে। দানা বড়োসরো, গত বছরের চেয়ে বেশি পাবো।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আবু নাদের এস এ সিদ্দিকী জানান, সরিষা চাষে কৃষকেরা যেভাবে আগ্রহ দেখাচ্ছে তা অত্যান্ত ইতিবাচক। এটি কৃষিখাতে সরকারের আরও একটি সাফল্য। দেশি জাতের সরিষা ৬০থেকে ৭০ দিনে এবং উচ্চ ফলনশীল জাতের সরিষা উঠতে সময় লাগে ৭৫থেকে ৮০দিন।তিনি আরও বলেন,সরিষার আবাদ বৃদ্ধি হলে তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বাড়বে এবং তেলের আমদানি নির্বরতা কমে যাবে।

আরো খবর..
© নরসিংদীর কন্ঠস্বর
Developed By Bongshai IT