1. admin@narsingdirkanthosor.com : admin :
বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
মাধবদীতে আল ইনাসাফ সমাজ কল্যাণ সংস্থার ফ্রি ব্লাড গ্রুপ নির্ণয় নরসিংদীতে গুমের শিকার ছাত্রদল নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবিতে মানববন্ধন নরসিংদীতে অর্থনৈতিক শুমারির উদ্বোধন বেলাবতে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতিসহ তিনজন গ্রেপ্তার রায়পুরায় ট্রেনের ধাক্কায় অজ্ঞাত যুবক নিহত মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক পলাশের আবদুল হাসিমের ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ শিবপুরে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস উদযাপন পলাশে মঈন খানের নির্দেশে দেয়ালে গ্রাফিতির উপর লাগানো পোস্টার অপসারণ নরসিংদীতে মরহুম কামাল মোল্লা স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টে টিপু স্মৃতি সংঘ চ্যাম্পিয়ন নরসিংদীর বেলাবতে পুত্রবধূকে ধর্ষণ, শশুর গ্রেপ্তার

পলাশে শিম চাষে লাখপতি, সংসারে ফিরেছে স্বচ্ছলতা

নাসিম আজাদ | নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিতঃ সোমবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ২৩৫ বার

নাসিম আজাদ, নিজস্ব প্রতিবেদক : একসময় অন্যের জমিতে চাষাবাদের কাজ করে যারা অতি কষ্টে সংসার চালাতো তারা এখন লাখপতি। শুধু কৃষি কাজ করে তাদের ভাগ্য এখন বদলে গেছে। নিজের দালান ঘর ও জমি দটুই হয়েছে। এবারও শিম চাষে সাফল্য পেয়ে হাসি ফিরেছে পলাশের এসব কৃষকদের মুখে। শিমের ভালো ফলনের পাশাপাশি স্থানীয় হাট-বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় উপজেলার প্রান্তিক শিম চাষিদের সংসারে ফিরেছে স্বচ্ছলতা।

উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার একটি পৌরসভা ও চারটি ইউনিয়নে ১৬০ হেক্টর জমিতে শিম চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও চাষাবাদ করা হয়েছে ১৭০ হেক্টর জমিতে।

উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের খাসহাওলা গ্রামের কৃষক আব্দুস সাত্তার বলেন, পড়াশোনা করতে পারিনি। ছিল অভাবের সংসার। অন্যের জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করতাম। এখন নিজের জমি হয়েছে, দুই বিঘা জমিতে এবছর শিম চাষ করে এপর্যন্ত ৩ লাখ টাকার উপরে বিক্রি করেছি, এখনো শেষ হয়ে যায়নি আরও বিক্রি করতে পারবো। সংসারে আগের মতো আর অভাব অনটন নেই। করতে হয়না ধারদেনা।

জয়পুরা গ্রামের কৃষাণী সালমা আক্তার বলেন, এখন আর শহরে যেয়ে বাসাবাড়িতে বুয়ার কাজ করতে হয়না, এবছর শিমের চাষ করে অনেক টাকা বিক্রি করেছি। আরও বেশকিছু দিন বিক্রি করতে পারবো। ফলনও ভালো হয়েছে, নতুন করে আবারও শিমের ফলন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ছেলে মেয়েরা স্কুলে পড়াশোনা করছে। এখন আর সংসারে আগের মতো অভাব অনটন নেই।

সরকারচর গ্রামের কৃষক আবুল মিয়া বলেন, আমি বছরের পুরো সময়টাতেই শাক-সবজির চাষ করে থাকি।ছোট সময় অন্যের বাড়িতে কাজ করলেও এখন জমি-দালান ঘর দুটোই হয়েছে। জীবনে বহু পরিশ্রম করেছি। গতবছর ১বিঘা জমিতে শিম চাষ করে ১লাখ ৩০ হাজার টাকার উপরে বিক্রি করেছি। এবছর দের বিঘা জমিতে শিম চাষ করেছি।আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও ভালো হয়েছে। বিক্রিও করেছি প্রায় ২লাখ ২০হাজার টাকার মতো। কম করে হলেও আরও একমাস বিক্রি করতে পারবো। বালাই নাশক ও শ্রমিক বাবদ খরচ খুব বেশি নয়। খরচ কম লাভ বেশি। ছেলে মেয়েদের পড়াশোনা স্কুলে পড়াশোনা করাচ্ছি। সংসারও ভালো চলছে, বউ ছেলে-মেয়ে নিয়ে সুখেই আছি।

স্বল্প খরচে প্রতি মাসে ঐসব জমি থেকে উল্লেখিত টাকা পাওয়ায় পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরেছে উপজেলার কৃষকদের। শিমের ফলন ভালোসহ হাটে-বাজারে দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকদের মুখে ক্লান্তিহীন হাসি।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আবু নাদের এস এ সিদ্দিকী বলেন, আমরা প্রতিটি এলাকায় যেয়ে সময়মতো বালাই ও ছত্রাকনাশক ঔষধের ব্যাবহার এবং সঠিক সময়ে পরিচর্যার ব্যপারে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে থাকি। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে কৃষকদের চাষাবাদে উদ্ভুদ্ধ করি।যার কারণে ফলনও ভালো হচ্ছে।

আরো খবর..
© নরসিংদীর কন্ঠস্বর
Developed By Bongshai IT