আলমগীর পাঠান, নিজস্ব প্রতিবেদক :হঠাৎ জেঁকে বসেছে শীত। এতে কষ্ট বেড়েছে খেটে খাওয়া দিনমজুর ও ছিন্নমূল মানুষের। মাঘের কনকনে শীতের রাতে প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে নেই। গরম কাপড় জড়িয়ে উষ্ণতা নিচ্ছেন সামর্থবানরা। কিন্তু চরম বিপাকে পড়েছে ভবঘুরে, আশ্রয়ন প্রকল্পে বসবাসকারী, বেদে সম্প্রদায়, অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষ। শীতের তীব্রতায় রীতিমতো কাঁপছে তারা। আর এসব অসহায় মানুষের কাছে শীতবস্ত্র পৌঁছে দিতে মাঝরাতে ছুটে বেড়াচ্ছেন নরসিংদীর বেলাব উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আয়শা জান্নাত তাহেরা।
শুক্রবার (২০ জানুয়ারী ) রাতে তিনি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ও সড়কে অবস্থানরত শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন। শীতের শুরুতেই ইউএনওর এ মহতি কাজের ভুয়সী প্রশংসা করছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জনসাধারণ।
এদিকে কম্বল পেয়ে অসহায় শীতার্ত মানুষগুলোর মুখে হাসি ফুটেছে। তারা বলেন, কনকনে শীতে তাদের জীবন-যাপন বড় কষ্টের হয়ে দাঁড়িয়েছে। শীতকে উপেক্ষা করে ইউএনও তাদের হাতে কম্বল তুলে দেয়ায় তার জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করেন অনেকে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়শা জান্নাত তাহেরা বলেন, এই শীতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কষ্টে থাকে ছিন্নমূল অসহায় দরিদ্র মানুষগুলো। এ শ্রেণীর মানুষগুলো এমনিতেই অসহায়ভাবে জীবন-যাপন করে থাকে। গত কয়েক দিন ধরে সারাদেশে বইছে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা। বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ-ব্যাধি। যাদের শীত নিবারনের ব্যবস্থা নেই। তাই আমাদের জেলা প্রশাসক( ডিসি) আবু নঈম মোহাম্মদ মারুফ খাঁন স্যারের নির্দেশনায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার শীতার্তদের জন্য কম্বল সবার আগে এদের মাঝে বিতরণ করেছি।
পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসনও অসহায় শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় রাতে নিজে কিছু অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষের হাতে কম্বল তুলে দিয়েছি। নিজ হাতে অসহায় মানুষগুলোকে কম্বল দিতে পেরে নিজের কাছে খুব ভালো লাগছে বলে জানান ইউএনও। এ কম্বল বিতরণ প্রক্রিয়া চলমান থাকবে বলেও উল্লেখ্য করে তিনি সমাজের বৃত্তবানদেরকে এসকল অসহায় শীতার্তদের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান।
এসময় কম্বল বিতরণে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সমসের জামান ভূঁইয়া রিটন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নায়েমা তাবাসসুম শাহ্, সহ প্রমূখ।